পশ্চিম মেদিনীপুর: এক বছরের ব্যবধানে একই পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার অনাস্থা আনলেন তৃণমূল সদস্যরা। মেদিনীপুর (Midnapur) সদর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তৃণমূল (TMC) জেলা নেতৃত্বের দাবি, অনাস্থা আনার জন্য দলের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, অনাস্থা কার্যকর না হলে গণ ইস্তফা অথবা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে তৃণমূল(TMC)-বিজেপি (BJP) চাপানউতোর। 


তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল সদস্যদেরই। প্রথমবার গৃহীত না হওয়ায় ১ বছরের ব্যবধানে আনা হল দ্বিতীয়বার অনাস্থা!এবার অনাস্থা গৃহীত না হলে গণ-ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। যার জেরে কার্যত টালমাটাল পরিস্থিতি মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতে।


প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২১ সালের মে মাসে, পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমা মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। যদিও সেসময় কোভিডের কারণ দেখিয়ে সেই অনাস্থা গৃহীত হয়নি। এর পর গত ২২ জুন দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য।


এবার অনাস্থা গৃহীত না হলে, গণ ইস্তফা অথবা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের শিরোমণি পঞ্চায়েত সদস্য মলয়কান্তি ঘোষের কথায়, এইবারে যদি অনাস্থা সাকসেস না হয়। আমরা পঞ্চায়েত মেম্বাররা যারা সই করে জমা দিয়েছি, আমরা দুটো রাস্তা অবলম্বন করব। হয় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এর উপর আমরা হাইকোর্টে যাব, না হলে আমরা গনইস্থফা দেব। আমাদের সমস্ত পঞ্চায়েত মেম্বাররা ইস্তফা দিয়ে দেব।


পশ্চিম মেদিনীপুরের শিরোমণি পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমা মণ্ডলের কথায়, নিশ্চয়ই ভাল কাজ করেছি, তার জন্য প্রশাসন আমার সঙ্গে ছিল। এবারও আশা করব প্রশাসন আমার সঙ্গে থাকবে। আর দিদির সৈনিক হিসেবে যে এরকম কথা বলতে পারে সেটা আমার জানা নেই। আর এই অনাস্থার ব্যাপার নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।


পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অজিত মাইতির কথায়, আমাদের দল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। আমাদের দলে কোথাও অনাস্থা আনতে গেলে দলের রাজ্য কমিটির অনুমতি নিতে হয়। সে আমি হলেও বা অন্য কেউ হলেও, দলের অনুমতি না নিয়ে কোথাও কেউ অনাস্থা আনতে পারবেন না। এটা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। এটার জন্য কেউ কোন পারমিশন নেয়নি।