আবির দত্ত, কলকাতা: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে (Amherst Street) আজ হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ হতে চলেছে মৃতের পরিবার। চুরির মোবাইল ফোন কেনায়, অশোক সিংহকে থানায় ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরই সেই ব্য়ক্তির অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হয়। আবিরকেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার দাবি নিয়ে আজই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মৃতের পরিবার।
মিনিটে ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশের দাবি, সন্ধে ৬টা ৯মিনিটে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। ঠিক দু মিনিটের মাথায় ৬টা ১১ নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তারপরই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ওই ২ মিনিটে ঠিক কী হয়েছিল? কীভাবে অচৈতন্য হয়ে পড়লেন ব্যক্তি? তদন্তে লালবাজার।
গতকাল থানার মধ্য়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে, প্রথমে কলেজ স্ট্রিট এবং তারপর আমহার্স্ট স্ট্রিট অবরোধ করে পরিবারের সদস্য় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানান বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষও। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল সিপি।
চুরির মোবাইল ফোন কেনায়, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরই সেই ব্য়ক্তির অস্বাভাবিক মৃত্য়ু ঘিরে, রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আমহার্স্ট স্ট্রিট চত্বর। অভিযোগ, অশোক সিং নামে ওই ৪২ বছর বয়সী ব্য়ক্তিকে, থানায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, চুরির ফোন কেনায়, বুধবার ওই ব্য়ক্তিকে থানায় ডাকা হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর আত্মীয় সেখানে গিয়ে দেখেন, অশোক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। সেই অবস্থায় তাঁকে মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অশোক সিংয়ের মৃত্য়ু হয়।
লালবাজার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের তরফে অশোক সিংকে ফোন করে, স্থানীয় থানায় মোবাইল ফোন জমা দিতে বলা হয়। এরপর মদন লাল নামে এক বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ব্যক্তি। অশোক সিংহ জানান, তিনি ফোন জমা দিতে আসছেন। বিকেল ৫টা ৪৩ নাগাদ আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যান অশোক। ২ মিনিট পর বেরিয়ে যান, তারপর থানায় ফিরে আসেন। থানায় থেকে সন্ধে ৬.০২ ও ৬.০৫ মিনিটে বিজেপি নেতা মদন লালকে দু'বার ফোন করেন তিনি।