প্রকাশ সিংহ, কলকাতা: বাগুইআটিতে বন্ধ ফ্ল্যাট (Flat) থেকে পচাগলা দেহ (Deadbody Rescued) উদ্ধার ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ফ্ল্যাটের মালিকও। ভাড়া সংক্রান্ত নথি বা ভাড়াটের পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে পাওয়া ভাড়াটের মোবাইল নম্বরটিও বর্তমানে ইনঅ্যাক্টিভ বলে পুলিশ জানিয়েছে।                                                   


জলের ড্রামে পচাগলা দেহ, ড্রামের মুখ সিমেন্ট দিয়ে আঁটা। বাড়ি মালিকের বক্তব্যে অসঙ্গতি। বাগুইআটির জগৎপুরে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনীভূত রহস্য। চারতলায় এক কামরার ফ্ল্যাট। বাড়ি মালিকের দাবি, বেশ কয়েকমাস ধরে ভাড়াটে না থাকায় ফ্ল্যাট তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল।                                                        


সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো ড্রামের মুখ: মঙ্গলবার ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে ঢুকে শৌচাগারে জলের ড্রামের মুখ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো দেখে সন্দেহ হয় নাকি তাঁর। পুলিশ এসে সিমেন্টের চাঙড় ভেঙে ড্রামের ভিতর থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। বাড়ি মালিক গোপাল মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ভাড়াটে ফ্ল্য়াটে না থাকলেও কয়েকমাস ধরে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান।


এরপরই ফ্ল্যাট পরিষ্কার করে নতুন করে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মালিক। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ি মালিকের বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি মিলেছে। নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি কতদিন আগে ভাড়া দিয়েছিলেন। ভাড়াটে কতদিন ধরে ফ্ল্যাটে থাকছেন না, তাও ঠিক মতো বলতে পারেননি বাড়ি মালিক। 


দানা বেঁধেছে রহস্য: দেখাতে পারেননি ভাড়ার নথি বা ভাড়াটের পরিচয়পত্র। আর এখানেই লুকিয়ে রহস্য। পুলিশের সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন ফ্ল্যাট মালিকও। এখনই তাঁকে ক্লিনচিট দিতে নারাজ তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর,বাড়ি মালিকের কাছ থেকে ভাড়াটের একটি মোবাইল নম্বর মিললেও, সেই নম্বর বর্তমানে ইনঅ্যাক্টিভ। ফলে বাগুইআটি হত্যাকাণ্ডে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ওপর জোর দিচ্ছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari : 'শাসক দল কি কর্মসূচির ১৫ দিন আগে পুলিশকে জানায়?' শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিয়ে বললেন বিচারপতি