কলকাতা: পিএসসি ভবনে (PSC Bhawan) ঢোকার সময় দরজা বন্ধ, পুলিশ-রক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিরোধী দলনেতা পিএসসি ভবনে ঢোকার সময় গেট আটকে দেওয়া হয়। যা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিরোধী দলনেতা। গাড়ি থেকে না নেমেই তিনি গেটের সিকিউরিটি গার্ডদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন যে কেন গেট আটকে দেওয়া হল? রাগে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে শুভেন্দু সেই সিকিউরিটি গার্ডদের বলতে থাকেন, ''বেতন মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় আপনাদের দেন? আমি চোর না ডাকাত। আজ পুলিশ ডাকা হয়েছে কেন? আমি হেঁটে যাব, গেটটা খুলুন আগে। পুলিশ ডেকে নিয়ে এসে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিএ পায় না। একটা কনস্টেবল ১৫ হাজার টাকা বেতন কম পায়, তবুও কোনও লজ্জা নেই।''
পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ''প্রতিদিন পিএসসি ভবনের গেট খোলা থাকে। আজ আমি একা আসব। হঠাৎ কেন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল? এখানকার স্থানীয় সিকিউরিটি যাঁরা মাত্র ১০ হাজার টাকা বেতন পায়, গরীব মানুষগুলো। তাঁদেরকে ধমকে বলছে গেটটা লাগিয়ে দিতে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এঁদের অপব্যবহার করছেন।'' বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ''এই গরীব মানুষগুলোকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এঁদের ন্যূনতম ব্য়ক্তিত্ব নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এঁরা বাড়িতে গিয়ে ঠিকভাবে নিজেদের পরিবারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে পারে না।''
পিএসসিতেও চিরকুটে চাকরি ! অনুমোদনে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের পক্ষে বিডিও হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দুর্নীতি করেছেন ! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার পিএসসি ভবনে যান। সেখানে ঢুকতে প্রথমে বাধা পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়ান তিনি। পরে বেরিয়ে যাওয়ার পথে দুর্নীতির বিস্ফোরক তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে রাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই উত্তাল। একের পর এক দুর্নীতি সামনে উঠে এসেছে গত কয়েক বছরে। হকের চাকরির দাবিতে এখনও রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। এর মাঝেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছিল চাঞ্চল্যকর চিরকুট তত্ত্ব। বিভিন্ন বিভাগে চিরকুটের মাধ্যমে চাকরির সুপারিশ এসেছিল বলে অভিযোগ। যারপরই বর্তমান রাজ্য সরকারেরই সময়ই শুধু নয়, শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ শানানো হয়েছিল বাম আমলেও চিরকুটে চাকরির। সব মিলিয়ে যে চিরকুটে চাকরি ইস্যুতে তোলপাড় চলেছিল রাজ্যে।