কলকাতা: '১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাম আমলে কারা কারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ?' নাম খুঁজে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) তালিকা বানাতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের (TMC) ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ঠিক এই সময়েই দলীয় নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী । সেখানে শিক্ষক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu)। জানা গিয়েছে, কালীঘাটের বৈঠকে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দুর্নীতি তদন্ত আদালতে বিচার চলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করি না। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হয়ে অপপ্রচার করছে। হাতে হাত মিলিয়েছে, কোনও চিন্তা করবেন না, হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুন'। 


‘চিরকুট’-এ চাকরি? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বাম আমলে ‘চিরকুট’ দিয়ে নিয়োগের পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন। পুরনো ফাইল খোলা হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। শুক্রবার দলের সঙ্গে বৈঠকে বাম আমলের চাকরিপ্রাপকদের নিশানা করেন নেত্রী। কারা সেই সময়ে চাকরি পেয়েছেন তা খুঁজে বের করারও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। আর এতেই প্রশ্ন তাহলে কি এবার পাল্টা আক্রমণ শানাবেন নেত্রী? 


চাকরিচ্য়ুত ৪ হাজারেরও বেশি অযোগ্য় প্রার্থী:  নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, আদালতের নির্দেশে এখনও অবধি চাকরি হারিয়েছেন, ৪ হাজারেরও বেশি অযোগ্য় প্রার্থী। যোগ্য় প্রার্থীদের টপকে, টাকা দিয়ে, চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই অযোগ্য়দের বিরুদ্ধে। আর যাঁদের বঞ্চিত করে, এই অযোগ্য় প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরা এখনও নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় বসে। মঙ্গলবার মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য়ে অবশ্য় এই ন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গ উঠে আসেনি! তিনি আগাগোড়া সওয়াল করলেন, আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্য়ুত, অযোগ্য় প্রার্থীদের হয়ে। আবেগপ্রবণও হলেন তাঁদের জন্য়! গলা কেঁপে গেল! কার্যত চোখে জল! 


মমতার সওয়াল:  আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্য়ুত অযোগ্য় প্রার্থীদের হয়ে, গত মঙ্গলবার কার্যত সওয়াল করেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যা শুনে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় বসে থাকা আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের প্রশ্ন, যোগ্য়তা থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে যাঁদের রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে, তাঁদের যন্ত্রণা চোখে পড়ছে না কেন? এ দিন বাম জমানার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম (Cpim) ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তাহলে তোমরা কেন খাচ্ছো? এখন রোজ কথায় কথায় হাজার হাজার চাকরি বাদ যাচ্ছে।'


 


তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, অন্য়ায় করলে অ্য়াকশন নিন। ছেলেমেয়েগুলো যাতে ভিকটিমাইজ না হয়, চাকরিটা আইন অনুযারী ফিরিয়ে দিন। দরকারে আবার পরীক্ষা দিক। কোর্ট যেটা বলবে, আমরা করে দেব। আর এতেই বিস্মিত আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।