কলকাতা: হকের চাকরি পাওয়ার অধিকার সবার রয়েছে। বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। সরকার শুধু ডেকে নিয়ে গিয়ে কথা বলার নাটক করছে। আসলে এই সরকার ক’ দিন টিকবে, সেটাই চিন্তা। প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের রাতভর ধর্না প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। 


চাকরির দাবিতে ঘুমহীন রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। ২১ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থান চলছে প্রাথমিক টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। গতকাল বেলা ১২টা থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। উল্টোদিকেই বেসরকারি হাসপাতাল। টানা আন্দোলনে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ২ আন্দোলনকারী। 


রাতেই আন্দোলনকারীদের পুলিশ জানায়, অবস্থানস্থলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।  হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে-আসতে সমস্যা হচ্ছে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকে আবেদন জানায় পুলিশ। যদিও এরপরও অবস্থান-বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। 


প্রেক্ষাপট: TET উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে সপ্তাহের প্রথম দিন উত্তাল হয়ে উঠে সল্টলেক করুণাময়ী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে দুপুর থেকে টানা অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন আন্দোলনকারীরা। দুপুরে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে করুণাময়ী মোড়। 


একদল ফুটপাতে শুয়ে কাঁদছেন। একদল ঠাঁটা পোড়া রোদ্দুরে বসে রয়েছেন রাস্তায়। একদল, দৌড়চ্ছেন পর্ষদের দিকে। একদল, আন্দোলনস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়লেনন।  তবুও অবস্থান থেকে এতটুকুও পিছু হঠতে নারাজ । 


দাবি একটাই, আর কোনও পরীক্ষা নয়। অবিলম্বে দিতে হবে নিয়োগপত্র।  TET-এর চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে, সোমবার দফায় দফায় উত্তাল হয়ে উঠল সল্টলেক করুণাময়ী।  বেলা গড়িয়ে....সন্ধে....হকের দাবিতে চলতে থাকে আন্দোলন।


অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে, সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস অভিযানের ডাক দেয় চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল দুপুর ১ টা নাগাদ, কয়েকজন আন্দোলনকারী পর্ষদের দিকে এগোতে গেলে, বাধা দেয় পুলিশ। তাদের আটক করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। 


আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার: এরপর, হঠাত্‍ই, করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনের সামনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে, ৩০০ মিটার দূরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের দিকে ছুটতে শুরু করে। তাঁদের ধরতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে, কাকে ছেড়ে কাকে ধরবে!এরইমধ্যে, পর্ষদের সামনে ফুটপাতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বেলে শুরু হয় আন্দোলন। ন্দোলনকারীদের অপরদল, করুণাময়ী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে, বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।