সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: শিক্ষকদের বকেয়া পেতে কেন এত দেরি? শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকারের আরও সচেতন হওয়া উচিত। বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বছরের পর বছর শিক্ষকদের কাছ থেকে পরিষেবা নিয়েছেন। আর বকেয়া আর্থিক পাওনা দেওয়ার সময় তাঁদের হেনস্থা করছেন? কাল যখন আপনার সঙ্গে হবে তখন কী করবেন? হাইকোর্টে উপস্থিত স্কুল পরিদর্শক ও জেলাশাসকদের উদ্দেশে মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।


বিচারপতি বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষাদান করেন। এটা একটা মহান কাজ। তাই অবসরের পর পাওনা আর্থিক সুবিধা পেতে বিলম্ব হওয়া খুবই দুঃখজনক। এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। স্কুল পরিদর্শক ও জেলাশাসকদের উদ্দেশে বিচারপতি মন্তব্য করেন, আপনারা কী করছেন? আপনাদের এই আমলাতন্ত্র আদালত মানতে নারাজ। সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ফাইল স্থানান্তরের জন্য শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না। দ্রুত বকেয়া মেটানোর চেষ্টা করুন। 


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি! যা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। ভুয়ো শিক্ষকদের খুঁজে বের করা সহ-দুর্নীতি মামলার তদন্তের মন্থর গতি প্রায় নিত্যদিনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। এবার আসল শিক্ষকদের বকেয়া পেতে দেরি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। 


কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল আদালতে উপস্থিত স্কুল পরিদর্শকদের। দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। গোটা কর্মজীবনে শিক্ষকতার শেষে, অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আদালত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিলেও, বহু আবেদনকারী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁদের পাওনা ঠিকমতো পাচ্ছেন না বলে ফের অভিযোগ ওঠে! শুক্রবার এ নিয়ে আদালত অবমাননার একাধিক মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। সেই শুনানিতেই বিচারপতি বলেন,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সচেতন হওয়া উচিত!   


তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষাদান করেন। এটা একটা মহান কাজ। তাই তাঁদের অবসরের পর পাওনা আর্থিক সুবিধা পেতে বিলম্ব খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এদিন আদালতে হাজির বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শক ও জেলাশাসকদের বিচারপতি প্রশ্ন করেন,কী করছেন আপনারা? 


আপনাদের এই আমলাতন্ত্র মানতে নারাজ আদালত।  আপনাদের সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ফাইল স্থানান্তরের জন্য শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, বছরের পর বছর তাঁদের কাছ থেকে সার্ভিস নিয়েছেন, আর বকেয়া আর্থিক পাওনা দেওয়ার সময় তাঁদের হেনস্থা করছেন কেন?কাল যখন আপনার সঙ্গে এটা হবে, তখন আপনি কী করবেন? এরপর আবেদনকারী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।