কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববাংলার লোগো কেন? প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বিশ্ববিদ্যালয় এবং জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তৃণমূলের পার্টি অফিস খোলা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। নির্দেশের পর জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তৈরি পার্টি অফিস বন্ধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও বিশ্ব বাংলার লোগো আছে। এদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব বাংলার লোগো রয়েছে কেন? লোগো সরাতে রাজ্যের ভূমিকা কি? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ঘর কেন? এ বিষয়ে, পুরসভা ও বিশেষ কমিটি তদন্ত করবে। পুরসভা জানাবে কোথায় কী পরিবর্তন হয়েছে? ২৭ মার্চ তদন্ত শুরু হবে। ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি। 


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati UNiversity) জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের (Jorasanko Campus) হেরিটেজ ভবন (Heritage Building) ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের পরও কাজ চললে জবাবদিহি করতে হবে রাজ্যকেই। হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


কাঠগড়ায় শাসকদলের শিক্ষাকর্মী সংগঠন !


কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ ভবন ভেঙে তৈরি হচ্ছিল শাসকদলের শিক্ষাকর্মী সংগঠনের অফিস ! রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। আর এই প্রেক্ষিতেই হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত।


জোড়াসাঁকোর হেরিটেজ ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে ৩ নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি।মামলাকারী অভিযোগ তোলেন, এই হেরিটেজ ভবনের দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ঐতিহাসিক সেই ঘর তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠন শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী সেখানে কবিগুরুর ছবি সরিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি টাঙানো হয়েছে।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থানে, হেরিটেজ ভবন ভাঙা অবিলম্বে বন্ধ করার আবেদন করেন মামলাকারীর আইনজীবী। সোমবার,  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন আর ভাঙা যাবে না। এই নির্দেশের পরেও যদি কাজ চলে, জবাবদিহি করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। কার নির্দেশে হেরিটেজ ভবন ভাঙা হচ্ছিল ? আদৌ কি অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ? বিস্তারিত জানতে চেয়ে রাজ্য সরকার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ২১ নভেম্বর রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।