কলকাতা: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভুয়ো নথি দিয়ে স্কুলে চাকরির অভিযোগ। ফের আদালতে (Calcutta High Court) অস্বস্তিতে রাজ্য (West Bengal)। এ দিন সিআইডি-র ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। এ দিন আদালতের তরফে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, '১৮ জানুয়ারি তদন্তকারী দল গঠন হলেও সব সদস্যের নাম বলতে পারছে না রাজ্য। ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম, সেই নামগুলো কোথায়?  রিপোর্টে শুধু পদমর্যাদা লেখা থাকলে কী করে বুঝব? যদি তদন্তকারী দল গঠন করা হয় তাহলে সেটা নাম অনুযায়ী হবে, নাকি পদমর্যাদা অনুযায়ী? ৪ আধিকারিক আজ আদালতে এসেছেন, বাকি ৩জন কোথায়? আমি এখনও বিশ্বাস করি রাজ্য কাউকে আড়ালের চেষ্টা করছে না। আপনারা কি আমাকে ভুল প্রমাণ করতে চান? '                                                   


এর উত্তরে রাজ্যের (West Bengal) তরফে জানানো হয়, ৭ জনের দল তৈরি করা হয়েছিল, আজকেই সব নাম জমা দিচ্ছি'। পাল্টা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেন, 'শুধু অনিমেষ তিওয়ারি ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে হবে না। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে হবে, এই ধরনের সুপরিকল্পিত দুর্নীতি একজনের দ্বারা সম্ভব না। সিআইডি-কে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে, আর সময় দেওয়া যাবে না। সিআইডি-র কাজে আমি সন্তুষ্ট নই'। এর পর মুর্শিদাবাদের গোঠা স্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বnsন, 'ভুয়ো নথির ভিত্তিতে বেশ কিছু শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন, কেন এরকম হবে? স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, কারও কাছে কোনও নথি নেই! কাজ করছে? এর প্রেক্ষিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, 'আমরা প্রচুর অনিয়মের সন্ধান পেয়েছি'।                                                                        


আরও পড়ুন: Manipur Violence: দাউদাউ করে জ্বলছিল বাড়ি, পালানোর সময় পাঁচ-ছ’জন মিলে গণধর্ষণ, মুখ খুললেন মণিপুরের আরও এক নির্যাতিতা