কলকাতা: ‘দু-একদিনের মধ্যে জুট কমিশনারের (Jute Commissioner) অফিসে ধর্না দেব।’ হুঁশিয়ারি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের। পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে সরব অর্জুন সিংহ। পাটশিল্প নিয়ে ফের মোদি সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। ফের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি অর্জুন সিংহর।
পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অর্জুন সিংহ: এদিন তিনি বলেন, “‘জুট কর্পোরেশনের দুর্নীতির কারণেই পাটশিল্প ধ্বংসের মুখে। ১৩ ডিসেম্বর আমি ও লকেট জুট কর্পোরেশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সরকারি বৈঠকের মিনিটস কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না? প্রত্যেক টনে আড়াই হাজার টাকা ক্ষতি করে কতদিন চলবে জুটমিল? ইতিমধ্যেই ১৪টি কারখানা বন্ধ হয়েছে, আরও ১০টি বন্ধ হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, “ধারাবাহিক ভাবে পাটশিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। জুট কর্পোরেশনের কর্তা মলয় চক্রবর্তী প্লাস্টিক লবিকে ঢোকানোর চেষ্টা করছেন। ব্যারাকপুরে এখন মাত্র ১৭টি জুটমিল চালু আছে।‘’
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির দাবি: একইসঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, "বর্তমান জুট কমিশনার দুর্নীতিগ্রস্ত। বর্তমান জুট কমিশনার মলয় চক্রবর্তী প্লাস্টিক লবির কাছের লোক। এই দুর্নীতি খুঁজতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হোক। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি। দ্রুত প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন, কারণ ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। বাংলা, ওড়িশা, অসম, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সরব হওয়া দরকার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনা করুন। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী আমায় সমর্থন করেছেন। তৃণমূল ও বাম শ্রমিক সংগঠনও আমায় সমর্থন করেছেন। দু-একদিনের মধ্যে জুট কমিশনারের অফিসে ধর্না দেব।''
কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়াতে স্পষ্টতই অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির অন্দরে। যদিও দলের বিরুদ্ধে কাজ করছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। অর্জুন সিংহ বলেন, “আমি দলের বিরুদ্ধে কাজ করছি না। যদি আমার সঙ্গে কেউ না আসে, একলা চলব। আজই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি লিখব।’’
আরও পড়ুন: Birbhum News: পথদুর্ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কন্যা-সহ ২ জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক এক