কলকাতা: শীতকাল মানেই পাতে থাকবে রকমারি সবজি। একঘেয়ে পটল, আলু, বেগুন বাদে হরেকরকম সবজি দিয়ে রান্নাবান্না চলেই। আর সেই শীতের সবজির দামও বাড়ল ঝড়ের গতিতে। শুধু তাই নয়, আলু-পেঁয়াজ-রসুনের দামও বেড়েছে লাফিয়ে। 


শীতকালীন সবজি শুধু নয়,আলু-পেঁয়াজেরও দাম বেশি। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৮০ টাকা। জ্যোতি আলু বিকোচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়, চন্দ্রমুখী আলু এক কেজির দাম ৪০ টাকা। কাঁচা লঙ্কা, গাজর ১০০ টাকা কেজি। আদা-রসুনের দামও আকাশছোঁয়া। এক কিলো রসুনের দাম ৪০০ টাকা। পালং শাকের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি, ঝিঙের দাম ৬০ টাকা, পটলের দাম ৫০ টাকা। 


আলু- ৪০ টাকা, পেঁয়াজ- ৮০ টাকা, শসা- ১৫০ টাকা, বেগুন- ৪০০ টাকা, কপি- ৪০ টাকা, ফুলকপি- ৪৫ টাকা, টমেটো- ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ- ২০ টাকা, করলা- ১৪০ টাকা, গাজর- ২০ টাকা, শশা- ২০ টাকা, মেথি- ৫০ টাকা, লেবু- ১৪০ টাকা, আদা- ১৬০ টাকা। এদিকে, আনাজপাতির দাম বাড়ায় মধ্যবিত্তের পকেটে টান। জোগান কম, তাই দাম বেড়েছে, দাবি বিক্রেতাদের।                                                   


আরও পড়ুন, 'নিম্নমানের সামগ্রী' দিয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তা বানানোর অভিযোগ, তুমুল বিক্ষোভ স্থানীয়দের


এদিন মানিকতলা বাজারে হানা দেয় রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স। কেন শীতের সবজির এত দাম, প্রশ্ন করা হয় বিক্রেতাদের। বাজারে টাস্ক ফোর্স থাকলে দাম কমছে, চলে গেলে যে কে সেই, দাবি ক্রেতাদের।                                  


শীতের সময়েই এমন কিছু শাকসবজির চাহিদা বেড়ে যায়, যেগুলি তাপমাত্রা কমে গেলে খুব সহজে বেড়ে ওঠে, যেমন তুয়ের, পাপডি, সেক্তানি সিং, গুয়ার ইত্যাদি। এছাড়াও, গত কয়েক মাসে কৃষকদের জন্য সেচ সুবিধা কম হওয়া এবং উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, যদি শীতকালীন শাকসবজির উৎপাদন আরও কম হয় বা পরিবহণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক না হয়, তাহলে দাম আরও বাড়তে পারে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে