কলকাতা: ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গেই বাড়ছে প্লাজ়মার (Plasma) চাহিদা। সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই প্লাজ়মার পাউচের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। প্লাজ়মা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা।
নাইসেডের (NICED) পাঠানো রিপোর্ট বলছে, এবছর দাপট দেখাচ্ছে, ডেঙ্গির ডেন্ভ্ (denv) টু ও ডেন্ভ্ থ্রি স্ট্রেন। ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহণ করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। পুরো জীবনচক্রে মশার শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু বেঁচে থাকে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লে তার মাধ্যমে জন্মানো নতুন মশার শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু সংক্রমিত হয় এবং সেই মশা কামড়ালে রোগ ছড়ায় মানুষের শরীরে। নাইসেড সূত্রে খবর, ডেঙ্গির সাধারণত ৪টি প্রজাতি। তার মধ্য়ে এই দুই প্রজাতি সবথেকে বেশি সংক্রামক। চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত, ১২৪টি ডেঙ্গির নমুনা পরীক্ষা করে নাইসেড। তারমধ্য়ে ৯৩টিতে ডেন্ভ্ থ্রি ও ২৭টিতে ডেন্ভ্ টু প্রজাতির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। নাইসেড সূত্রে খবর, গত বছর, মোট ৭১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্য়ে ৩৮১টিতে ছিল ডেন্ভ্ থ্রি ৩১৭ টিতে ডেন্ভ্ টু প্রজাতির হদিশ মেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেন্ভ্ টু-র থেকে ডেন্ভ্ থ্রি তুলনামূলকভাবে সামান্য় কম ক্ষতিকারক। তবে, তাকে একেবারেই হেলাফেলা করা যাবে না।
কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলাতেও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চলতি মরসুমে উদ্বেগ বাড়িয়েছে মশাবাহিত রোগ। কিন্তু সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লাজ়মার পাউচের সংখ্যা অপ্রতুল। রোগীর আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে প্লাজমা নিয়ে আসতে। তার রিক্যুইজিশনও রয়েছে, কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্ক বলছে তাদের কাছে নেই। সব মিলিয়ে শঙ্কায় রোগীর আত্মীয়রা। এদিকে কলকাতা পুর এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ আটকাতে বিশেষ রাসায়নিক দেওয়া মশারি বিলি করবে কলকাতা পুরসভা। অন্যদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে উদ্যোগী বাঘাযতীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ আটকাতে অন্য রোগীদেরও এবার ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে মশারির ভিতর।
আরও পড়ুন: DA Agitation:বকেয়া ডিএ সহ তিন দফা দাবি, ফের কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের