সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: ২২১ দিনে আন্দোলন, সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ফের কর্মবিরতির ডাক। বকেয়া ডিএ-র (DA Agitation) দাবিতে ১০, ১১ অক্টোবর সরকারি অফিসে কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। বকেয়া ডিএ-সহ ৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। 


ফের কর্মবিরতির ডাক: গত ২২১ দিন ধরে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এর আগেও একাধিকবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে তাঁরা। কিন্তু এত কিছুর পরেও সরকারের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তাই ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন তাঁরা। বকেয়া DA-র দাবিতে প্রথমবার গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামী মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। বিডিও অফিস এবং থানায় নিচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে আন্দোলন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। 


এর আগে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে সামিল বাকি বিরোধী দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছিল তৃণমূল-সহ ২৬টি বিরোধী দল। আর সেদিনই কংগ্রেস, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, DMK, NCP ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলকে চিঠি পাঠিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সেখানে লেখা হয়েছিল, দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে, কেন্দ্রের সমান DA দেওয়া হয়। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে তাদের কর্মীদের ৪২ শতাংশ DA দেয়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৬ শতাংশ। সরকারি দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। যা রাজ্যের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। স্থায়ী কর্মী নিয়োগের বদলে, চুক্তিভিত্তিক বিপুল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে চিঠিতে আরও লেখা হয়েছিল, বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ও স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের কাজে গিয়ে অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। এরপরই মঞ্চের তরফে বিরোধী দলগুলির কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল, যেহেতু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় স্তরের ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য যেন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।


আরও পড়ুন: Presidency University: অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিলেন শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়