হিন্দোল দে, কলকাতা: ফের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি, এবার কলকাতায়। নির্দিষ্ট করে বললে কুদঘাটের ইটখোলার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ যুবতীর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। কী ভাবে ঘটল এমন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বিশদ...
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, স্কুটিতে করে এক যুবক-যুবতী ইটখোলার দিকে যাচ্ছিলেন। উল্টো দিকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি গাড়ি আসছিল। গাড়িটির সঙ্গে স্কুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সম্ভবত খালাসিরা গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, দাবি স্থানীয়দের। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। আটক করা হয় খালাসি-সহ চালককে। ধরা হয়েছে গাড়িটিও।
এই রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা এখন প্রত্যেক দিনের চেনা বিষয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কার্যত সব প্রান্তেই মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর শোনা যায়। দিনদুয়েক আগের কথাই ধরা যাক। মঙ্গলবার, একদিকে হুগলি, অন্য দিকে পশ্চিম বর্ধমানে দু-দুটি পথ দুর্ঘটনায় তিন জনের প্রাণ গিয়েছিল। এর মধ্যে হুগলির ধনেখালির ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের কাঁকসায় যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তাতে মারা যান ২ জন।
দুই জেলায় জোড়া দুর্ঘটনা...
পুলিশ জানিয়েছিল, হুগলির ধনেখালিতে মাটি বোঝাই ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহী মারা যান। সেই ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল ধনেখালিতে। অন্য দিকে, দুর্গাপুরের কাঁকসায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় পাথর বোঝাই একটি লরি। সকালের দিকে কাঁকসার বিরুডিহায় এই ঘটনা ঘটে। পাথর চাপা পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। আরও ২ জন জখম হন। একটু পিছনে ফিরে দেখলেই বোঝা যাবে, এই দুর্ঘটনা ব্যতিক্রমী বা বিরল কিছু নয়। খাস কলকাতা হোক বা লাগোয়া এলাকা বা জেলার নানা প্রান্ত, কার্যত নিয়মিত পথ দুর্ঘটনার খবর শিরোনামে আসে। তাতে প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক পরিণতিও এড়ানো যায় না বহু সময়ে। এই নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে যে সচেতনতা বাড়ানোর কোনও চেষ্টাই নেই, সে কথা ভুল। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই চেষ্টা কি পর্যাপ্ত? তা ছাড়া নজরদারির দিকটিও কি যথেষ্ট? পাশাপাশি, এও খেয়াল রাখা দরকার যে ট্র্যাফিক-আইন নিয়ে সাধারণ মানুষই বা কতটা সচেতন?
আরও পড়ুন:‘সব মিথ্যে মামলা, ওঁর ভাইপো শুধু ভাল’, মমতার আক্রমণে জবাব নিশীথের