অরিন্দম সেন, জলদাপাড়া: পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ পালিত হল জলদাপাড়ায়। সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের জলদাপাড়ায় এই উৎসব পালন করল জলদাপাড়া পর্যটন ব্যবসায়ী মহল।


জলদাপাড়ায় বেড়াতে আসা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের গলায় খাদা পরিয়ে, হাতে গোলাপ ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে করানো হয় মিষ্টিমুখ। বিশ্ব পর্যটন দিবসে জলদাপাড়ায় এমন অভ্যর্থনা পেয়ে খুশি পর্যটকরাও।


এদিন জলদাপাড়া এলাকার পর্যটন ব‍্যবসায়ী, গাইড সহ পর্যটন ব‍্যবসার সঙ্গে যুক্ত সবাই এই অনুষ্ঠানে সামিল হন। করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়ার পর ডুয়ার্সের জঙ্গল-নির্ভর পর্যটনে ভিস্তাডোম ট্রেন চালু হওয়ায় ফের আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।


এদিকে, পুজোর আগে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে। তবে পাহাড়ের পর্যটন সংস্থাগুলির দাবি, গ্রামের দিকে নিরিবিলি জায়গা খুঁজছেন অনেক পর্যটক। সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে কার্শিয়ঙের চিমনি দেওরালির মতো কম পরিচিত এলাকার গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়। 


পাহাড়ের হাতছানিতে আবার পুজোর আগে বাঙালির পায়ে সর্ষে। করোনার আতঙ্ক সরিয়ে আস্তে আস্তে পর্যটক ফিরতে শুরু করেছে কার্শিয়ং, কালিম্পঙে। পাহাড়ে বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাও পর্যটকদের টানতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে।


কার্শিয়ঙের সবচেয়ে উঁচু জায়গা চিমনি দেওরালি থেকে আশপাশের অনেক দূর পর্যন্ত পাহাড়ের দৃশ্য ভাল দেখা যায়। এলাকাটি নিরিবিলও। তাই এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।


আগের মতো ভিড় এখনও না হলেও, কালিম্পঙেও বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে পাহাড়ের পর্যটন সংস্থাগুলি বলছে, পর্যটকরা এখন গ্রামের দিকে নিরিবিলি জায়গাই বেশি পছন্দ করছেন। 


করোনা আবহে অনেকটাই দূষণমুক্ত প্রকৃতি। তার সৌজন্যে পরিষ্কার আকাশ। আর সেই স্বচ্ছতোয়া আকাশের বুকেই উঁকি দিল মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা। সোমবার সকালে ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি থেকে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে তুষারশুভ্র শৃঙ্গ। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। তার ১৫ দিনের মাথায় আবার শিখর দর্শন দার্জিলিংয়ের প্রতিবেশী জেলা জলপাইগুড়ি থেকে।