প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: প্যারাগ্লাইডিং করার সময় প্যারাসুট (Parachute) থেকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে তরুণ বায়ুসেনার। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত ওই বায়ু সেনা কর্মীর নাম চন্দ্রকা গোবিন্দ। বয়স হয়েছিল ২৯ বছর। এবং তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা (Andhra Pradesh)।
সূত্র মারফত খবর, আজ সকাল দশটা নাগাদ পানাগড় বায়ু সেনা ছাওনিগে প্যারাসুটে চাপে ঐ বায়ুসেনা। যান্ত্রিক গলযোগের কারণে সে ডিট্র্যাক্ট হয়ে যায়। আজ সকাল ১১ টা নাগাদ বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়ার কাছে একটি বেসরকারি কারখানার সামনে স্থানীয় বাসিন্দারা, প্যারাসুট-সহ ওই আহত ব্যক্তিকে দেখতে পায়। তড়িঘড়ি স্থানীয় বড়জোড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এবং আহত ওই বায়ুসেনা কর্মীকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরে চিকিৎসকেরা থাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গতবছর ঠিক এই সময়েই কালিম্পঙের (Kalimpong) স্মৃতি ফিরেছিল সিকিমের (Sikkim) লাচুংয়ে। প্যারাগ্লাইডিং (Paraglliding) করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল গাইড ও ভিনরাজ্যের পর্যটকের। সিকিমের লাচুংয়ে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা ঈশা রেড্ডি। গাইড সন্দীপ গুরুঙের সঙ্গে ওড়া শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁদের নামার কথা ছিল নীচের একটি পার্কে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই একটি বিদ্যুতের তারে আটকে প্যারাসুটের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়।
সেখান থেকেই লাচুং নদীতে পড়ে ভেসে যান দু’জনে। এরপর নদীর ধারে বোল্ডারে আটকে যায় দুজনের দেহ। পরে পুলিশ, সেনা ও আইটিবিপির জওয়ানরা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে প্যারাগ্লাইডিং। ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর কালিম্পঙে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। গাছে প্যারাসুট জড়িয়ে ওপর থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এর আগেও ২০১৫ সালের ২১ জুন, মন্দারমণিতে প্যারাসেইলিং করতে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন, আবেদনের পরেও হয়নি কাজ ! ফের 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, একুশ সালেও এসেছিল এক মর্মান্তিক খবর। সারা দেশে নেমেছিল শোকের ছায়া। তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ভেঙে পড়েছিল বায়ুসেনার এমআই-17 কপ্টার। কুন্নুরে বায়ুসেনার কপ্টার দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, জখম হয়েছিলেন ৩ জন। দিল্লি থেকে সুলুর হয়ে ওয়েলিংটন যাওয়ার পথে কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হেলিকপ্টারে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। হেলিকপ্টারে ছিলেন সস্ত্রীক সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দিল্লি থেকে তাঁর কপ্টার প্রথমে তামিলনাড়ুর সুরুলে আসে। সুরুল হয়ে ওয়েলিংটনের দিকে অগ্রসর হয়। মাত্র ৫ মিনিটের যাত্রা পথ বাকি ছিল। কিন্তু কুন্নুরের কাছে পার্বত্য অঞ্চলে চা বাগানের মধ্যে ভেঙে পড়েছিল তাঁর কপ্টার।