ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: সকাল সকাল জলাশয় থেকে উদ্ধার এক তরুণের (youth body recovery from kolkata water body) দেহ। খাস কলকাতার প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে চৌবাগা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন উনিশ বছরের বিশ্বজিৎ মণ্ডল। প্রগতি ময়দান থানায় মিসিং ডায়েরিও দায়ের করেছিল তাঁর পরিবার। আজ জলাশয় থেকে যে তরুণের দেহ পাওয়া যায়, সেটি বিশ্বজিতেরই বলে দাবি করেছে পরিবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। 


কী জানা গেল?
প্রগতি ময়দান থানা এলাকার খানাবেড়িয়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ, শুক্রবার, স্থানীয় জলাশয় থেকে এক তরুণের দেহ উদ্ধার হলে বিশ্বজিতের পরিবার দাবি করে, সেটি তাঁরই। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিশ্বজিৎকে খুন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ওই অঞ্চলে পুজো দেখতে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সম্ভবত, তরুণ যেখানে পুজো দেখতে গিয়েছিলেন, সেখানে কারও সঙ্গে মারপিট বা কোনও অশান্তি হয়েছিল, দাবি পরিবারের। আজ সকালে, তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, জলাশয় থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। মুখে মারধরের চিহ্ন রয়েছে, দাবি বিশ্বজিতের পরিজনদের। নাকের মধ্যেও রক্তের দাগ দেখেছেন তাঁরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইমে সুইগি-তে ডেলিভারি পার্টনার হিসেবেও কাজ করতেন ওই তরুণ। যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেখানকার এক বাসিন্দার বক্তব্য মঙ্গলবার দিন মারপিঠ বেঁধেছিল। তাঁরা কয়েকজন এসে সেই মারপিঠ থামান। কিন্তু তার পরও ঘাড়ে ধরে বিশ্বজিৎকে স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁরাও খুঁজতে খুঁজতে ক্লাবে পৌঁছন। কিন্তু তার পর আর বিশ্বজিতের খোঁজ পাননি। মিসিং ডায়েরি করে পুলিশের কাছে তরুণকে খোঁজার আর্জি জানানো হয়। নিজেরাও খোঁজাখুঁজি করেন। তার পর আজ সকালের এই ঘটনা। এর আগে, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের একটি পুকুর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়। মৃতের নাম ছিল শান্তনু মণ্ডল। ঘটনার দিন সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরের মধ্যে বছর তিরিশের ওই যুবকের দেহ ভাসতে দেখেছিলেন বলে খবর।


আরও পড়ুন:সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরের বয়ান রেকর্ড করতে তৃতীয়বার সিজিও কমপ্লেক্সে বসিরহাটের DSP