পহেলগাঁওকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুরের পর সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি এবং পাকিস্তানের মদতদাতার ভূমিকা তুলে ধরতে বিশ্বের দরবারে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে মোদি সরকার। আর তাতে রয়েছেন বিজেপি ও সরকারের শরিক দল ছাড়াও বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ইউসুফ পাঠান-সহ কোনও সাংসদকেই না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কেন ? পরিষ্কার করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
JDU-র সঞ্জয়কুমার ঝায়ের নেতৃত্বাধীন দলে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম ছিল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তারা দেশের এবং জাতীয় স্বার্থরক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে রয়েছে। কিন্তু তিনি যাচ্ছেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু দলের তরফে কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা নিয়ে তৃণমূলই সিদ্ধান্ত নেবে। বিদেশ নীতি একান্তভাবেই কেন্দ্রের বিষয় এবং এটা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ ভাবে তাদেরই দায়িত্ব।
'দলের কে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা দল ঠিক করবে'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট করে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে । কিন্তু কে কোন দল থেকে যাবে তা একতরফাভাবে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, " আমি স্পষ্টভাবে বলছি যে কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, যার লক্ষ্য জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা, তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে"। তিনি আরও বলেন, কোনও প্রতিনিধিদলের যাওয়া নিয়ে তাদের কোনও সমস্যা নেই, তিনি আরও বলেন যে দলটির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে কোন সদস্য প্রতিনিধিদলে যাবেন।
'তৃণমূল কংগ্রেস অপারেশন সিঁদুর বয়কট করছে না এবং কখনও বয়কট করেনি'
সাংসদ অভিষেক স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূল কংগ্রেস অপারেশন সিঁদুর বয়কট করছে না এবং কখনও বয়কট করেনি।"টিএমসি অপারেশন সিঁদুর বয়কট করছে না। আমরা কখনও অপারেশন সিঁদুর বয়কট করিনি। তৃণমূলই একমাত্র দল যারা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করেনি। ক্ষমতাসীন সরকার, কিছু বিরোধী দল সহ, এটি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে এবং আমি তার নিন্দা করি। দেশের স্বার্থের বিষয়ে রাজনীতির কোনও স্থান নেই" বলেন অভিষেক।