বীরভূম: তৃতীয় দফার ভোটের আগে ফের কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে, সরানো হল বীরভূমের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার এবং ওই জেলারই তিন থানা, বোলপুর, ময়ূরেশ্বর ও লাভপুরের ওসিকে। এর আগে ১৭ মার্চ, এই বোলপুর ও ময়ূরেশ্বর থানার ওসিকেই সরিয়েছিল কমিশন।


বৃহস্পতিবার দিনভর রাজনৈতিক দল থেকে বিদ্বজ্জন…নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা। তারপর শহর ছাড়তে না ছাড়তেই কড়া পদক্ষেপ। বীরভূমের পুলিশ সুপারের পদ থেকে মুকেশ কুমারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।

এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের তিনটি থানার ওসিকেও সরিয়ে দিল কমিশন। এই তিনটি থানা হল বোলপুর, লাভপুর, ময়ূরেশ্বর।

বীরভূমের পুলিশ সুপারের মতোই এই তিনটি থানার ওসিদের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। বৃহস্পতিবারই কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে সরানোর দাবি জানায় কংগ্রেস।

কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া বলেন, শুধু অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই হবে না। বীরভূমের পুলিশ সুপারকেও সরাতে হবে।

এরইমধ্যে কমিশনের উদ্দেশে নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন যে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে, তা এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়। একসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার এবং তিন থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় কমিশন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ১৭ মার্চই বোলপুর এবং ময়ূরেশ্বর থানার ওসিকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু, তাঁদের জায়গায় নতুন যাঁরা দায়িত্ব নেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। এবার সেই দু’জনকেও সরিয়ে দিল কমিশন। তাও আবার বীরভূমে ভোটের মাত্র দু’দিন আগে!

বীরভূমের নতুন পুলিশ সুপার হচ্ছেন সব্যসাচীরমণ মিশ্র। তিনটি থানায় শুক্রবার দু’টোর মধ্যে নতুন ওসি নিয়োগের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বীরভূমের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তৃণমূল জেলা সভাপতির একের পর হুমকি ঘিরে ইতিমধ্যেই রবিবারের ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। এরইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে শাসক দলের আঁতাঁতের অভিযোগেও সরব তারা। এই প্রেক্ষাপটে কমিশনের কড়া সিদ্ধান্ত বিরোধীদের অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।