গাচ্ছিরোলি : ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। প্রমাণ করলেন শতোর্ধ্ব বৃদ্ধা। 'Home Voting'-এর সুবিধাকে উপেক্ষা করেই ভোট দিতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে হাজির হলেন ১১১ বছরের ওই বৃদ্ধা। তাঁর উৎসাহকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলেই। 


বরাবরের মতো এবারও লোকসভা ভোটে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহী ছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই মহারাষ্ট্রের মাওবাদী-অধ্যুষিত গাচ্ছিরোলির প্রত্যন্ত এলাকার বুথে ভোট দিতে যান ওই মহিলা। এক আত্মীয়ের হাত ধরে ঢোকেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। 


 






শুধু কি প্রত্যন্ত এলাকা, মাথার উপর চাঁদিফাটা রোদও ছিল প্রথম দফার ভোটের দিন। মুলচেরা তালুকের গোবিন্দপুরে গ্রামের বুথের ভোটার বছর ১১১-র ফুলমতি সরকার। শুক্রবার টু-হুইলারে চেপে সেখানেই হাজির হন তিনি। নির্বাচন কমিশনের সুযোগ দেওয়া 'Home Voting'-এর সুবিধা এর আগে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। উপরন্তু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার কথা তখনই জানিয়ে দেন তিনি। 


আধার কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ফুলমতি সরকার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। ১৯১৩ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই হিসাবে এখন তাঁর বয়স ১১১ বছর।


একটি ভিডিওয় দেখান গেছে, প্রথম দফার ভোটের দিন এক আত্মীয়ের হাত ধরে অতি উৎসাহে ঢুকছেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গাচ্ছিরোলির জেলাশাসক সঞ্জয় দাইনে ও আহেরি বিধানসভার সহকারী নির্বাচনী আধিকারিক আদিত্য জিভ্নে। 


ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, 'ভোট ফ্রম হোমে'র ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম যাঁরা তাঁদের বুথে গিয়ে ভোট দিতে হবে না। 'ভোট ফ্রম হোমে'র আওতায় এই প্রথম বাড়ি থেকেই ভোটদান করতে পারবেন তাঁরা। (Election Commission)। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবকরা মোতায়েন থাকবেন। হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। ভোট দিতে গেলেও সেক্ষেত্রে বয়স্ক এবং শারীরিক ভাবে অক্ষমদের অসুবিধা হবে না। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।