কলকাতা: আইনে পরিণত হওয়ার প্রায় ৪ বছর পর, লোকসভা ভোটের মুখে, CAA-র বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মোদি সরকার। ফলে দেশজুড়ে চালু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা 'CAA'। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ক্ষেত্রে সিএএ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। লোকসভা ভোটের আগে এই সিএএ নিয়ে কোন দল কতটা লাভবান হতে পারে? সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে তেমনই কিছু তথ্য। 



'CAA' চালু হওয়ায় লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কে লাভবান হবে?


সি ভোটারের সমীক্ষায় বলা হয়েছে সিএএ চালু হওয়ায় ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন লাভবান হবে বিজেপি, ২৫ শতাংশ মনে করছেন  লাভবান হবে তৃণমূল, ৬ শতাংশ মনে করছেন লাভবান হবে বাম কংগ্রেস জোট, ১৩ শতাংশর মত সিএএ নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। ১৬ শতাংশ মনে করছেন তাঁরা এর উত্তর দিতে পারবেন না। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না অমিত শাহ- 'CAA' নিয়ে কে সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন?


সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন মমতা। ৪৯ শতাংশ মনে করছেন সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অমিত শাহ। ৮ শতাংশ মনে করছেন দুজনের মন্তব্যই বিভ্রান্তিকর। ১০ শতাংশ বলেছেন তাঁরা এর উত্তর বলতে পারবেন না। 


'CAA' কার্যকর হওয়ায় সংখ্য়াগরিষ্ঠ মতুয়ারা কাকে ভোট দেবে? 


৪৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন মতুয়ারা ভোট দেবেন বিজেপিকে। ৩১ শতাংশ বলেছেন সিএএ কার্যকর হলে মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন, ৭ শতাংশ বলেছেন বাম-কংগ্রেস জোট ভোট পাবে। ১৫ শতাংশ মানুষ বলতে চাননি। 


'CAA' নাকি সন্দেশখালিকাণ্ড - কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে বাংলায় লোকসভা ভোটে?


সি ভোটারের এই প্রশ্নের উত্তরে ২৭ শতাংশ মনে করছেন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে সন্দেশখালি। ২৪ শতাংশ মনে করছেন সিএএ বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। ২১ শতাংশ মনে করছেন দুটো ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ২৮ শতাংশ বলতে পারব না, এমনটাই জানিয়েছেন। 


 


ডিসক্লেমার: সি ভোটারের সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। তাই এই সমীক্ষায় ফল যাই হোক না কেন তাকে ধ্রুবসত্য মনে করার কোনও কারণ নেই। সি ভোটারের এই সমীক্ষার সঙ্গে সম্পাদকীয় নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া তথ্যগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরি মাত্র।