কলকাতা : গতবার তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিয়েছিল বিজেপি। অভাবনীয় উত্থান হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে একেবারে ১৮টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। কার্যত রাজ্য বিজেপির মাথা তুলে দাঁড়ানো সেই থেকেই। এর পর কেটে গেছে পাঁচটা বছর। মোদি-ম্যাজিকে ভর করে রাজ্য ভালই সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। যদিও সেই ধারা বজায় রেখে বিধানসভা নির্বাচনে আশাপ্রদ ফলাফল হয়নি। কিন্তু, এই সময়ের মধ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। বিধানসভাতেও লড়াইটা এখন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। হালে সিপিএমে একাধিক ইস্যুতে তরুণ ব্রিগেডকে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে সক্ষম হলেও, তৃণমূলের এই মুহূর্তে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই হয়ে উঠেছে, তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কেমন হবে বিজেপির ফলাফল ? তৃণমূলকে কি ফের একবার চেপে ধরতে পারবে তারা ? নাকি, গতবারের ধাক্কা কাটিয়ে এবার লোকসভায় আসন বাড়াতে সক্ষম হবে রাজ্যের শাসক দল ? সে তো সময় বলবে। কিন্তু, কী ভাবছে মানুষ ? তা উঠে এল সি ভোটার সমীক্ষায়।
সি ভোটারের তরফে প্রশ্ন ছিল, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে কারা ক'টি আসন পেতে পারে ?
তৃণমূল- ২৩
বিজেপি- ১৯
বাম- ০
কংগ্রেস- ০
লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসনের তুলনা (মোট আসন-৪২)
লোকসভা ভোট- ২০১৯
তৃণমূল- ২২
বিজেপি- ১৮
কংগ্রেস- ২
ওপিনিয়ন পোল- ২০২৪
তৃণমূল- ২৩
বিজেপি- ১৯
লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে কারা কত শতাংশ ভোট পেতে পারে ?
তৃণমূল- ৪২
বিজেপি- ৪২
বাম- ৪
কংগ্রেস- ৩
অন্যান্য- ১০
(ডিসক্লেমার: বর্তমান সমীক্ষা ও তৎলব্ধ পূর্বাভাসটি CVoter Opinion Poll Computer Assisted Telephone Interview বা 'CATI' ভিত্তিতে যে ৪১ হাজার ৭৬২ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর করা হয়েছিল, তা থেকে পাওয়া গিয়েছে। এঁরা প্রত্যেকে ভোটার-তালিকাভুক্ত। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ চলে। রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাউন্ডিং এফেক্টের জন্য বহু 'টেবল'-এ যে সংখ্যা রয়েছে, তার যোগফল ১০০ হয়নি। চূড়ান্ত যে তথ্যের উপর বিশ্লেষণ হয়েছে, তা রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের কমবেশি ১%-র মধ্যে। আমরা মনে করি, এটিই জনমতের ধারার সবথেকে কাছাকাছি। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। 'এরর মার্জিন' বা ভুলের মাত্রা কম-বেশি ৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহ্য করা হয়েছে এবং ৯৫ শতাংশ কনফিডেন্স ইন্টারভ্যালে আমরা আমাদের ভোট শেয়ারের পূর্বাভাস দিয়েছি।)