কলকাতা: পয়লা এপ্রিল থেকে বেড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মহিলাদের ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা। তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ১০০০ থেকে বাড়িয়ে ১২০০ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় মহিলাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। রাজ্য়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে, ভোটের প্রতিশ্রুতি মতো মহিলাদের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে প্রতি মাসে সরাসরি টাকা দেওয়ার প্রকল্প চালু করে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ভাতা বৃদ্ধি হতেই সবুজ আবির উড়েছে প্রতিবাদের সন্দেশখালিতে। তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নাচে গানে মেতেছিলেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ।


যদিও একুশের বিধানসভা ভোটেই এই প্রকল্প তৃণমূলকে ডিভিডেন্ড দিয়েছে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় মহিলা ভোট ব্যাঙ্ককে কাছে টানতে মোদি যখন 'লাখপতি দিদি' তৈরির 'গ্য়ারান্টি' দিচ্ছেন। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মাসে ৩ হাজার টাকা মহিলাদের দেওয়ার কথাও ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে বিজেপি।


 তারপরও সন্দেশখালির ঘটনা তৃণমূলের মহিলা ভোটব্যাঙ্কের ফাটল ধরাবে বলে মনে করছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫১ শতাংশ মানুষ। আর ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করছেন এর ফলে ভোট ব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব পড়বে না তৃণমূলের। অন্যদিকে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবে না জানিয়েছেন ১২ শতাংশ মানুষ।


এপ্রসঙ্গে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেন, আমরা বলছি কাজ দাও। এটা তৃণমূলের টাকা না, সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা, সরকার সেই টাকা দিচ্ছে। তৃণমূলকে হটান কাটমানিও বন্ধ হবে, আপনাদের হাতে কাজ যাবে,আর সঙ্গে এগুলো সব বজায় থাকবে।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, এটা মানুষের দ্রারিদ্য নিয়ে, অভাব নিয়ে অত্যাচার, ব্ল্যাকমেলিং। কংগ্রেস ঘোষণা করেছে ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক পরিবারের একজন মহিলা বছরে পাবেন ১ লক্ষ টাকা।


আরও পড়ুন:


ডিসক্লেমার: সি ভোটারের সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। তাই এই সমীক্ষায় ফল যাই হোক না কেন তাকে ধ্রুবসত্য মনে করার কোনও কারণ নেই। সি ভোটারের এই সমীক্ষার সঙ্গে সম্পাদকীয় নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া তথ্যগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরি মাত্র।