কলকাতা: ১৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। হাতে আর মাত্র একটা সপ্তাহ। জোরকদমে চলছে প্রচার। শেষমেশ জয়ের হাসি কে হাসবে তা তো বোঝা যাবে ৪ জুন। তার আগে রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে সমীক্ষা চালিয়েছে C Voter।


কীভাবে সমীক্ষা? C ভোটারের সমীক্ষকরা রাজ্যের ৪২টা কেন্দ্রকে তিনটে ভাগে ভাগ করেছেন। কোনও দল, যে যে কেন্দ্রে একেবারে স্পষ্টভাবে এগিয়ে, সমীক্ষকরা যাকে বলছেন, Clear Winner, আমরা বলছি 'সম্ভাব্য জয়ী।' আবার জোর টক্কর হচ্ছে বেশ কিছু কেন্দ্রে, যেখানে তিন শতাংশ ভোটের স্যুইং হলে, সম্ভাব্য ফল মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। আবার কিছু কেন্দ্রে টক্কর একেবারে হাড্ডাহাড্ডি, যেখানে মাত্র এক শতাংশ ভোটের স্যুইং সম্ভাব্য ফল উল্টে দিতে পারে। 



  • হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। যেখানে লড়ছেন স্বয়ং তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বামেদের প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। ISF -এর প্রার্থী মজনু লস্কর। এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। সম্ভাব্য জয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


  • পুরুলিয়ায় লড়ছেন শান্তিরাম মাহাতো তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন, বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো, কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো। সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে এই কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিলেও কংগ্রেসকেই তাঁরা সমর্থন করবেন। সম্ভাব্য জয়ী বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। 


  • রায়গঞ্জে জমজমাট ত্রিমুখী লড়াই। কৃষ্ণ কল্যাণী লড়ছেন তৃণমূলের টিকিটে, কার্তিক পাল লড়ছেন বিজেপির টিকিটে, কংগ্রেসের প্রার্থী আলি ইমরান রামজ। এখানে কার্তিক পাল সম্ভাব্য জয়ী বলছে সি ভোটার।


  • রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বোলপুর। এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ১৩ মে। তৃণমূলের প্রার্থী অসিত মাল, বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা, সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। এই কেন্দ্রে সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। 


  • বালুরঘাটে প্রার্থী স্বয়ং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিপ্লব মিত্র তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। জোট প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত। ISF প্রার্থী মোজাম্মেল হক। সি ভোটার বলছে সুকান্ত মজুমদার সম্ভাব্য জয়ী। 


  • বর্ধমান পূর্বে চতুর্থ দফায় ভোট। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সরকার, তিনি এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। সিপিএম প্রার্থী নীরব খাঁ। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী সম্ভাব্য জয়ী শর্মিলা সরকার। 


এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের সম্পাদকীয় কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও কোনও জায়গাই নেই এখানে। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরি মাত্র। কুড়ি বছর ধরে আপনাদের এই সমীক্ষা দেখিয়ে আসছি। বহুবার মিলেছে, বহুবার মেলেনি। সমীক্ষা কখনও একশোয় একশো পেয়েছে, কখনও শূন্য পেয়েছে। কারণ সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী নয়। তাই একে ধ্রবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, বা হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা আপনারা কী ভাবছেন, তার একটা আভাস পাওয়ার চেষ্টা মাত্র। কারণ সমীক্ষাই যদি সব হত, তাহলে তো আর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভোট করার দরকারই পড়ত না। আর এই সমীক্ষা যখন চলেছে, তখন অনেক দলেরই প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, হেভিওয়েটদের ঝোড়ো প্রচারও তুঙ্গে ওঠেনি। আমি শুরুতেই দেখে নেব, ঠিক কতজনের মধ্যে, কবে, কীভাবে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: ABP Cvoter West Bengal Opinion Poll: কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, দার্জিলিং, বহরমপুর, হুগলি, কৃষ্ণনগরে সম্ভাব্য জয়ী যাঁরা