কলকাতা: আর এক সপ্তাহ বাকি লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণে (Lok Sabha Elections 2024)। সেই আবহে সি ভোটারের সমীক্ষা সামনে এল, যাতে জয়ী হওয়ার দৌড়ে কোন দল এগিয়ে রয়েছে, কোন দল পিছিয়ে, তার আভাস পাওয়া যায়। তমলুক, দমদম, হাওড়া, মথুরাপুর এবং মেদিনীপুর কেন্দ্রে কোন দলের প্রার্থী জয়ী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সমীক্ষায়, দেখে নেওয়া যাক। (ABP Cvoter West Bengal Opinion Poll)



  • তমলুকে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য, বিজেপি-র কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সিপিএম-এর সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সি ভোটার সমীক্ষা বলছে, তমলুকে সম্ভাব্য জয়ী অভিজিৎ। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ তমলুকে।

  • দমদমেও জমজমাট ত্রিমুখী লড়াই এবার। সেখানে সপ্তম দফায় ১ জুন ভোটগ্রহণ। দমদমে তৃণমূলের প্রার্থী সৌগত রায়, বিজেপি-র শীলভদ্র দত্ত এবং সিপিএম-এর সুজন চক্রবর্তী। সমীক্ষা বলছে, দমদমে সম্ভাব্য জয়ী সৌগত। তবে ১ শতাংশ সুইং হলেই ফলাফল পাল্টে যেতে পারে।

  • হাওড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি-র রথীন চক্রবর্তী, সিপিএম-এর সব্যসাতী চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় বোটগ্রহণ হাওড়ায়। সমীক্ষা বলছে, প্রসূনের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে জনগণের রায়।

  • দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে সপ্তম দফায় ১ জুন ভোটগ্রহণ। তৃণমূলের প্রার্থী বাপি হালদার, বিজেপি-র অশোক পুরকায়স্থ, সিপিএম-এর শরৎচন্দ্র হালদার, ISF-এর অজয়কুমার দাস। সমীক্ষা বলছে, সম্ভাব্য জয়ী বাপি। ৩ শতাংশ সুইং হলেই ফলাফল পাল্টে যেতে পারে। 

  • মেদিনীপুরে এবার ষষ্ঠ দফায় ১৫ মে ভোটগ্রহণ। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া, বিজেপি-র অগ্নিমিত্রা পাল, সিপিএম-এর বিপ্লব ভট্ট। সমীক্ষা বলছে, সম্ভাব্য জয়ী অগ্নিমিত্রা।


আরও পড়ুন: ABP Cvoter West Bengal Opinion Poll: কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, দার্জিলিং, বহরমপুর, হুগলি, কৃষ্ণনগরে সম্ভাব্য জয়ী যাঁরা


এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও কোনও জায়গাই নেই এখানে। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরি মাত্র। কুড়ি বছর ধরে এই সমীক্ষা হয়ে আসছে। বহুবার মিলেছে, বহুবার মেলেনি। সমীক্ষা কখনও একশোয় একশো পেয়েছে, কখনও শূন্য পেয়েছে। কারণ সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী নয়।


তাই একে ধ্রুবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, বা হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা, মানুষ কী ভাবছেন, তার একটা আভাস পাওয়ার চেষ্টা মাত্র। কারণ সমীক্ষাই যদি ধ্রুবসত্য হত, তাহলে তো আর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভোট করার দরকারই পড়ত না। আর সি ভোটারের এই সমীক্ষা যখন চলেছে, তখন অনেক দলেরই প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, হেভিওয়েটদের ঝোড়ো প্রচারও তুঙ্গে ওঠেনি। 


সি ভোটারের সমীক্ষকরা, রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রকে তিনটে ভাগে ভাগ করেছেন। কোনও দল, কোনও কেন্দ্রে, একেবারে স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকলে, সমীক্ষকরা তাকে বলছেন, Clear Winner, আমরা বলছি 'সম্ভাব্য জয়ী।' আবার জোর টক্কর হচ্ছে বেশ কিছু কেন্দ্রে, যেখানে তিন শতাংশ ভোটের স্যুইং হলে, সম্ভাব্য ফল মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। আবার কিছু কেন্দ্রে টক্কর একেবারে হাড্ডাহাড্ডি, যেখানে মাত্র এক শতাংশ ভোটের স্যুইং, সম্ভাব্য ফল উল্টে দিতে পারে। কে জিতবে, কে হারবে, তা বোঝা যাবে ৪ জুনই, ফলপ্রকাশের পর।