রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : রাত পোহালেই ভোট বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তার আগে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বহরমপুরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে অধীর চৌধুরীর বচসা বেধে যায়। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের বাগ্‍যুদ্ধ হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে এলাকা ছাড়েন অধীর।


পরে এপ্রসঙ্গে অধীর বলেন, "এখানে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছিল। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের কিছু গুন্ডা। তৃণমূলের কিছু মদ-মাতালে লোক। তাদের একটাই বক্তব্য, এখানে কংগ্রেসকে ভোট দিলে এই বিল্ডিংয়ে থাকতে দেব না। বিল্ডিং আমরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। মহিলারা প্রতিবাদ করেছেন। তার জন্য তাঁদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে। এখানকার যুবকদের উপর হামলা করা হয়েছে। এরপর এখানকার সব মহিলা যখন প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন, হার্মাদদের দল তখন এখান থেকে পালিয়েছে। তারপর এখন পুলিশ এসেছে। পুলিশ এসে যে মহিলার উপর শ্লীলতাহানি-অত্যাচার হয়েছে, তাঁকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইছেন। কোনও রেকর্ড বয়ান করেনি। জেনে সে চলে গেছে। আমি উঠে এসে তাঁদের পাশে দাঁড়ালাম। এসপিকে ফোন করলাম। আইসি এলেন। আইসি আর একটা অপদার্থ অফিসার। তিনি কথাবার্তা শেষ করার আগে বলছেন, মিডিয়া ট্রায়াল করলে তো কিছু করার নেই। আমি বললাম, আমি কি মিডিয়ার লোক ? এই প্রতিবাদ তা যাতে মুখর না হয়, তার জন্য এদিক ওদিক নানাভাবে টোপ দিয়ে, শান্তনা-দেখব-প্রতিশ্রুতি সব দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।  এখানে অত্যাচার করলাম, প্রতিবাদ হবে না, তা কিন্তু এখানে হবে না। এখানে কিছু হলে তার পাল্টা হবে। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। এটা আমাদের দাবি। গ্রেফতার না হলে আমরা আমাদের মতো আন্দোলন তীব্র করব। তাতে ভোট থাক না থাক, কিছু যায় আসে না আমাদের।"


বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের লড়াই এবার ত্রিমুখী। বহরমপুর বিজয়ে বিজেপির বাজি প্রবীণ চিকিৎসক নির্মল সাহা। কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে ২০১১-র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠানকে। গত পাঁচ-পাঁচটি লোকসভা ভোটে অপরাজেয় অধীর। ১৯৯৯ থেকে টানা ৫ বার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন তিনি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।