পূর্ব মেদিনীপুর: নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। রণজিৎ মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দল নোটিস দিলে জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন আনন্দময়। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


হ্যাটট্রিক গড়ে মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাই ২০০ পার তৃণমূল। কঠিন ভোট-পরীক্ষায় বিপুল সাফল্যের পরও তৃণমূলের অন্দরে খচ খচ করছে কোন্দলের কাঁটা। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরে। জেলার মোট ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ৯টি তৃণমূল জিতেছে। ৭টি-তে জয়ী হয়েছে বিজেপি


এই প্রেস্টিজ ফাইটে বিজেপিকে তলে তলে সাহায্যের অভিযোগে, খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল, ওরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে, তিনি নিজে পদত্যাগ করলে ভালো, না হলে অনাস্থা এনে ওনাকে সরানো হবে।


রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারী-জেলার রাজনীতিতে দু’জনেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই তাঁর একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে এই দুই নেতাকে।


বিধানসভা ভোটে, রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারী - এই দুই তৃণমূল নেতার ঘরের মাঠ খেজুরি এবং হলদিয়াতে বিজেপি প্রার্থীদের কাছে হেরেছে তৃণমূল। খেজুরিতে তৃণমূলের পার্থপ্রতিম দাস, বিজেপির কাছে হেরেছেন ১৭ হাজার ৯৬৫ ভোটে। হলদিয়ায় বিজেপির তাপসী মণ্ডল ১৫ হাজার ৮ ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী স্বপন নস্করকে।


এই হারের জন্য তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠকে কাঠগড়ায় তোলা হয় রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারীকে। বহিষ্কারের পর এখনও পর্যন্ত খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আনন্দময় অধিকারী বলেন, আমি কিছু নোটিস পাইনি, এলে দেখব।


তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়। অন্যদিকে, আমফানের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তমলুক থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল দলের নির্দেশে। তাঁকে আবার ওই পদে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল।