শুভেন্দু ভট্টাচার্য, এবিপি আনন্দ, কোচবিহার : ১১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ‍ বৃহস্পতিবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে উত্তরবঙ্গে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির এই কর্মসূচি ঘিরে গেরুয়া শিবিরে তৎপরতা তুঙ্গে। সোমবার রাসমেলা ময়দানে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসু। বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার অমিত শাহ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কপ্টারে কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে পৌঁছবেন শাহ। সকাল ১০টায় প্রথমে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। রাসমেলা ময়দানে জনসভার পর সেখান থেকে উত্তরবঙ্গে রথযাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা। উল্টোদিকে বসে নেই তৃণমূলও। অমিত শাহের কর্মসূচির দিন কোচবিহার শহরে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে ঠাসা প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে শাসক শিবিরের।


তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই দিন যুব তৃণমূল কোচবিহার শহরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তার মুখে শিবির করবে। দলের ছাত্র যুব ও মহিলা সংগঠনের সদস্যরা গাঁধীমূর্তির পাদদেশে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাবেন। তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাবেন শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশে। দুটি জায়গাই অমিত শাহের সভাস্থল রাসমেলা ময়দান থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে। কোচবিহারের  তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, 'আমরা প্রথম থেকেই রাস্তায়। ৯ থেকে ১২ আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি আছে। ১১ তারিখ কে আসছে জানি না। আমরা আমাদের কর্মসূচি ধারাবাহিক ভাবে পালন করব' 
পাল্টা রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসু জানান, 'তৃণমূল যাই করুক না কেন, মানুষের মন থেকে উঠে গেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কোচবিহার থেকে অমিত শার গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি দেয়নি। তার প্রত্যুত্তর মানুষ দিয়েছে। আবার গণ্ডগোল করলে তারও উত্তর মানুষ দেবে'


এই পরিস্থিতিতে ১১ ফেব্রুয়ারি দিনটা কোচবিহার পুলিশের কাছে কার্যত অ্যাসিড টেস্ট। একই দিনে প্রায় একই সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের কর্মসূচি। পারদ চড়ছে রাজার শহরে।