বেজিং: কোনও দেশ থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংসকারী অ্যান্টি-ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা সম্প্রতি করেছে চিন। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই পরীক্ষাকে সফল বলে আখ্যা দিয়েছে। একইসঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে যে, কোনও দেশকে লক্ষ্য করে এই পরীক্ষা চালানো হয়নি। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই এই অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরি করা হয়েছে।


চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, দেশের সীমান্তের মধ্যেই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।


এই অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষার ব্যাপারে প্রযুক্তিগতভাবে কোনও তথ্য জানায়নি চিন। এই অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়েছে উত্তর চিনের তাইইয়ুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে।


চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একদিকে যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলছে যে, এর পরীক্ষার লক্ষ্য বিশেষ কোনও দেশ নয় বা কোনও বিশেষ দেশের দিকে তাকিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়নি, সেখানে তখন চিনের সেনা পিএলএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছে, তা চিনের দিকে ধেয়ে আসা পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে পারে। এই ঘটনার ভারতের জন্য হুঁশিয়ারি হতে পারে।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরই সবচেয়ে দূরপাল্লার পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি-৫ ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনের সঙ্গে সীমান্তে বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এক্ষেত্রে প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত করা হয়েছে। অগ্নি-৫ ব্যালেস্টিক মিসাইলের পাল্লা পাঁচ হাজার কিলোমিটার। যার পাল্লায় চলে আসতে পারে চিনের যে কোনও শহরই।


সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চিনের মাঝপথে মিসাইলকে ধ্বংস করার প্রযুক্তি আমেরিকা বা রাশিয়ার মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, চিন ও আমেরিকার মিসাইলে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে।


উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়  বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই চিনের সঙ্গে সংঘাত চলছে ভারতের। এখনও পর্যন্ত এই বিবাদে দুই দেশের মধ্যে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি।