নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন গৃহীত হয়নি। নির্বাচনের জন্য যে জামিন পেয়েছিলেন, শনিবারই তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে বুধবারই তিহাড় জেলে আত্মসমর্পণ করতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার দুপুর ৩টেয় নিজের বাসভবন থেকে বেরোবেন তিনি, সেখান থেকে সোজা তিহাড়ে পৌঁছবেন বলে জানালেন তিনি। (Arvind Kejriwal)


সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেই আত্মসমর্পণের কথা জানালেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, "আত্মসমর্পণ করতে রবিবার দুপুর ৩টেয় বাড়ি থেকে বেরোব আমি। স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমরা। দেশের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিতে হলে, দুঃখ থাকবে না। দেশকে বাঁচাতে নিজের জীবন দিতেও রাজি আমি। সশরীরে আপনাদের মাঝে যদিও থাকব না, কিন্তু চিন্তার কারণ নেই। আপনাদের জন্য সরকারি কাজকর্ম অব্যাহত থাকবে।" (Delhi Liquor Policy Case)


অসুস্থতার দেখিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বিষয়টি দেখবেন বলে প্রথমে জানানো বলেও, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কেজরিওয়ালের সেই আবেদন গ্রহণ করেনি। ফলে আবগারি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রাপ্ত কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শনিবার, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দিনে। 


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: আজ ভোটযুদ্ধের শেষ দফা, মোদি-অভিষেক-সহ হেভিওয়েট প্রার্থী কারা ? বঙ্গের ৯-সহ দেশজুড়ে ৫৭ কেন্দ্রে লড়াই


কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, যে ৫০ দিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি, তাতে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। একধাক্কায় ওজন  কমে গিয়েছে অনেকটা। পাশাপাশি, আরও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডায়বিটিসের রোগী কেজরিওয়াল জেলে ওষুধও পাননি বলে অভিযোগ। চিকিৎসকরা তাঁকে বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে বলেছেন, তার জন্যই আরও সাত দিন অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধি চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল।


কেজরিওয়ালের কথায়, "৫০ দিন জেলে বন্দি ছিলাম। ওই ৫০ দিনে ছয় কেজি ওজন কমেছে আমার। জেল থেকে বেরনোর পরও সেই ওজনের ঘাটতি পূরণ হয়নি। চিকিৎসকরা আমার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমার মা-বাবা বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। আপনারা প্রার্থনা করলে আমার মা নিশ্চয়ই সুস্থ থাকবেন। আপনাদের পরিবারের সন্তান হিসেবের বরাবর নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার মা-বাবার খেয়াল রাখতে আর্জি জানাচ্ছি আপনাদের।"


গত ১২ মার্চ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে। কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দিল্লিতে সুরা ব্যবসায় যে আবগারি নীতি চালু হয়, তার বিনিময়ে কেজরিওয়াল এবং Aam Aadmi Party মোটা টাকা ঘুষ নেয় বলে অভিযোগ ইডি-র। প্রায় ১০০ কোটি টাকা দলের ঝুলিতে গিয়েছে বলে দাবি তাদের। কেজরিওয়াল এবং AAP যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ AAP নেতৃত্বের।