প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: খাস কলকাতায় বিজেপির এজেন্টকে বসতে বাধার অভিযোগ। ঘটনাস্থল কাশীপুর (Cossipore Chaos)। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছলেন কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় (Kolkata Uttar BJP Candidate Tapas Roy)।  


বিজেপি প্রার্থীর কথা...
উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থীর দাবি, 'যাঁরা ভোট দিতে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে শুনেছি। তাই এসেছি। পুলিশকেও বলেছি।' এলাকার একাধিক মানুষের অভিযোগ, রাতভর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তাপস রায়ের বক্তব্য, 'হ্যাঁ তাই তো, সর্বত্রই এটা হয়েছে। সেটা আমি মাঝরাত পর্যন্ত, যাঁদের জানানো সম্ভব, সকলকে জানিয়েছি।' তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাল্টা দাবি, এখানে এরকম কোনও কিছু হয়নি। তবে তাপস রায়কে দেখার পরই যে একটি বিক্ষোভ তৈরি হয়, সেটি ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। একসময়ে ধাক্কাধাক্কিও হয় উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে। তাপস রায়ের দাবি, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। ফোন করেছেন অবজার্ভারকে। তবে কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত যা খবর, তাতে গলির মুখে অনেকক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু মানুষ।


ইভিএম-ভিভিপ্যাট জলে...
ভোট শুরু হতে না হতেই অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ে কুলতলিতে। সেখানে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের জেরে ইভিএম-ভিভিপ্যাট পুকুরে ফেলে দেন গ্রামবাসীরা। তবে পরে নির্বাচন কমিশন জানায়, যে ইভিএম-ভিভিপ্যাট পুকুরে ভাসতে দেখা গিয়েছে, সেটি যেখানে ভোটগগ্রহণ পর্বে অশান্তি হয়েছে সেখানকার নয়। কুলতলির ৪১ এবং ৪২ নম্বর বুথের সেক্টর অফিসারের গাড়িতে যে রিজার্ভ ইভিএম রয়েছে, সেটি ফেলে দেওয়া হয়। ফলে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি, কোনও ভোটলুঠও হয়নি। গোটা ঘটনায় ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের তির তৃণমূলের এজেন্টদের দিকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আজ সকালে যখন 'মক পোলিং' শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন দলের এজেন্টরা বুথের ভিতর ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আঙুল তৃণমূলের দিকে। বাধা পাওয়ার পরই বিরোধীদের এজেন্টরা যখন বেরিয়ে যেতে থাকেন, তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। সে সময়ই ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, নিজেদের ভোট তাঁরা নিজেরাই দেবেন।তার পরই ইভিএম মেশিন পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তবে শোনা যাচ্ছে, গাছের গুঁড়ি ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটকানো হয়েছে। তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। খবর পেয়ে জয়নগরের বিজেপি প্রার্থী অশোক কান্ডারি কুলতলির দিকে রওনা দেন।


আর পড়ুন:"চোর মাচায়ে শোর", ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ নৌশাদ সিদ্দিকির