গুয়াহাটি : কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ার জেরে ২০১৬-তে অসমে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপি। পরবর্তীকালে রাজ্যে এনআরসি, সিএএ হাওয়ায় অনেকটাই ব্যাকফুটে পদ্ম শিবির। সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এবার উত্তরপূর্বের রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ইউপিএ-এনডিএ শিবিরে। আগামীকাল ভোটগণনার শেষে বোঝা যাবে, পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তনে সায় দিয়েছে অসম।


দীর্ঘদিন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার থাকায় এমনিতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া বইছিল অসমে।যার ফল ঘরে তুলতে দেরি করেনি বিজেপি। স্থানীয় দল অসম গণ পরিষদ ও বোরো পিপলস ফ্রন্টকে সঙ্গে নিয়ে গতবার নির্বাচনে নামে গেরুয়া শিবির। যার ফলও আসে হাতেনাতে। ১২৬ আসনের অসম বিধানসভায় ৮৬টি আসন পায় তিন দলের জোট।


যদিও গত পাঁচ বছরে বদলে গিয়েছে অসমের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে মানুষ। বেগতিক দেখে নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোয় এনআরসি লিস্ট সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সিটিজেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-এর বিরুদ্ধে অনবরত আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। যার জেরে পাঁচজনের গুলি লেগে মৃত্যু হয়। বিধানসভা ভোটে সেই আঁচ জিইয়ে রাখে কংগ্রেস। যার প্রভাব পড়তে পারে ভোটবাক্সে।


সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষায় বলছে, উত্তরপূর্বের রাজ্যে এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UPA-র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ১২৬ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট অসমে ৫৮ থেকে ৭১টি আসনে জয় পেতে পারে NDA। প্রধান বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UPA পেতে পারে ৫৩ থেকে ৬৬টি আসন।


বিধানসভা আসনের নিরিখে অসমে মোট ১২৬টি সিট। সব মিলিয়ে ম্যাজিক ফিগার ৬৪। সমীক্ষা বলছ, এবার অসমে NDA পেতে পারে প্রায় ৪৩ শতাংশ (৪২.৯) ভোট। পাশাপাশি UPA পেতে পারে প্রায় ৪৯ শতাংশ(48.8) ভোট। গত ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল ও ৬ এপ্রিল মোট তিন দফায় ভোট গ্রহণ হয় অসমে। রাত পোহালেই ভোট গণনা রাজ্যে। পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন কোন পথে অসম, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।