পূর্ব গোদাবরী(অন্ধ্রপ্রদেশ) : চেয়ারে বসেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। জ্বর শুনে এগিয়ে এলেন না সহকর্মীরা। কোভিডে এমনই মর্মান্তিক মৃত্যুর সাক্ষী থাকল অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি কার্যালয়।


ক'দিন ধরেই জ্বর আসছিল। তা সত্ত্বেও কাজ সামলাতে অফিস আসছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজন ভুলেও আঁচ করেননি বিপদের। যদিও মারাত্মক খবর এল অফিস থেকেই। শুক্রবার চেয়ারে বসেই মৃত্যু হল পূর্ব গোদাবরী জেলার গ্রাম সচিব জয় শঙ্কর নারায়ণের।


সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গত চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন নারায়ণ। শুক্রবারও জ্বর নিয়েই অফিস এসেছিলেন তিনি। চেয়ার থেকে পড়ে গেলে এগিয়ে যেতে ভয় পান সবাই। কোভিডের আশঙ্কা থেকেই সহকর্মীকে ধরতে যাননি তাঁরা। পরে হাসাপাতালে কোভিড পরীক্ষা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে নারায়ণের।


অন্ধ্র্প্রদেশের করোনা চিত্র বলছে, সারা রাজ্যে ৫ জেলা থেকেই আসছে ৫০ শতাংশ কোভিড রোগী। চিত্তুর, শ্রীকাকুলাম, পূর্ব গোবরী, গুন্টুর, নেলোর চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের। এই পাঁচ জেলায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি। এইসব জেলা মিলিয়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্য ৬৪ হাজার ৩৯৯ জন। বৃহস্পতিবার রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৮ জন।


এদিকে রাজ্যে করোনা রোগীদের জন্য নয়া পরামর্শ দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। কোভিড উপসর্গ দেখলে হাসপাতালের বদলে করোনা কেয়ার সেন্টারে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছে রাজ্য। প্রশাসনের দাবি, রাজ্যবাসীর হাসপাতাল বেডের বিষয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। অন্ধ্রের হাসাপাতালগুলিতে এখনও কোভিড চিকিৎসায় পর্যাপ্ত বেড রয়েছে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা চার লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। এনিয়ে ফের একবার দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে রেকর্ড গড়ল ভারত। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও একবার সাড়ে ৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন।