কলকাতা: যে রাতে বাঘাযতীনে আক্রান্ত হল সিপিএম সমর্থক পরিবারগুলি, সে রাতেই সিপিএমের উপর হামলার অভিযোগ উঠল কসবাতেও! শুধু সিপিএম নয়, শনি এবং রবিবার হামলা হয় বালিগঞ্জে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উপরও।
আর ভোট পরবর্তী এই সন্ত্রাসের নিন্দাতেই রাজপথে প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস।প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল হয়।
অভিযোগ, রবিবার রাতে কসবায় পার্টি অফিসে ঢুকে, সিপিএম কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়!
রবিবার গভীর রাতে কসবার বোসপুকুর এলাকায় সিপিএমের পার্টি অফিসে আচমকাই হানা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তখন পার্টি অফিসের ভিতরেই ছিলেন পার্টির এক কর্মী। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর পর, বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় এই সিপিএম কর্মীকে!
ঘটনার পর একটা গোটা দিন কেটে গেলেও, এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ! অথচ, শুধু এই সিপিএম কর্মীই নন! একই রাতে কসবার বৈকুণ্ঠ ঘোষ রোডে আক্রান্ত হন আরও কয়েকজন সিপিএম সমর্থক! অভিযোগ, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময়, তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা! অভিযোগ, রিভলভারের বাট দিয়ে মারধর করা হয় তাঁদের।
আহত হন ৩ সিপিএম সমর্থক। একজনের মাথাও ফেটে যায়।
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাঁদের সমর্থকদের মারধর করেছে সিপিএম!
দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও, ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সিপিএম-কংগ্রেসের প্রশ্ন, ভোটের দিনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর, কোথায় উবে গেল পুলিশের সক্রিয়তা? নাকি এই বদলের মূলে রয়েছে, সেই হুমকি?