কলকাতা: বাংলার ৪২টি আসনে কী হবে তার দিকে নজর রয়েছে গোড়া থেকেই। এবার বাংলায় যে আসনগুলি হেভিওয়েট- তার মধ্যে অন্যতম বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র। 


এবার এই কেন্দ্রে মুখোমুখি লড়াই তৃণমূল-বিজেপির। বিজেপির হয়ে এবারেও প্রার্থী গতবারের সাংসদ সৌমিত্র খান। আর উল্টোদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। প্রথম থেকেই এখানে প্রচার নজর কেড়েছিল। তারই সঙ্গে প্রচারে-আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে ব্যক্তিগত আক্রমণ-ব্যক্তিগত প্রসঙ্গও।


গতবারের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) আদালতের নির্দেশে নিজের লোকসভা ক্ষেত্রে ঢুকতে পারেননি সৌমিত্র খান। সেই সময় তাঁর হয়ে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সুজাতা মন্ডল। কিন্তু তারপরে সময় বদলেছে। দুজনে আলাদা হয়েছেন। তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা মন্ডল। তাঁকেই বিষ্ণুপুরে প্রার্থী করে তৃণমূল। দুই শিবিরও এবারে এই আসনে জয়লাভের দাবি করেছেন।


যদিও এবিপি সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোলে বিষ্ণুপুর আসনে বিজেপি জয়ী হতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। যদিও ওই আসনে কড়া টক্কর হবে বলেও সমীক্ষায় উঠে এসেছিল। ভোট গণনায় পোস্টাল ব্য়ালট গোনার সময় কখনও সুজাতা মণ্ডল এগিয়ে, কখনও এগিয়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র খান। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে সৌমিত্র খান।


অন্যদিকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রও বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। প্রচারের নানা চমক দিয়েছেন তিনি। এবারে এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। এই আসনেও এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ওপিনিয়ন পোলে ইঙ্গিত ছিল সুভাষ সরকার জয়ী হতে পারেন। যদিও পোস্টাল ব্যালট গণনার সময়, গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী পিছিয়ে পড়েছেন সুভাষ সরকার। এগিয়ে রয়েছে অরূপ চক্রবর্তী।  


রাজ্যে ভোটগণনা কীভাবে?
আজ লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট-গণনার জন্য মোট ৫৫টি গণনা কেন্দ্র তৈরি করা রয়েছে। কাউন্টিং হলের সংখ্যা ৪১৮। কোচবিহার লোকসভার অন্তর্গত শীতলকুচি ৩১০ নম্বর বুথ, দিনহাটা ৩১৮ নম্বর বুথে সবথেকে বেশি ২৩ রাউন্ড এবং দার্জিলিং লোকসভার চোপড়ার ২৫১ নম্বর বুথে সবথেকে কম ৯ রাউন্ড গণনা হবে। কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সবথেকে বেশি ৭টি গণনা কেন্দ্র রয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে ৪টি, দার্জিলিঙে ৩টি, রায়গঞ্জে ২টি এবং অন্যান্য জায়গায় একটি করে গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। EVM গণনার জন্য ৪১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার ARO থাকছেন। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। ৩ লক্ষেরও বেশি পোস্টাল ব্যালট জমা পড়েছে। শেষে হবে EVM গণনা। ভোট গণনায় মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনা কর্মী থাকছেন। 


কমিশন সূত্রে খবর, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের ৫৫টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, থাকবেন ২ হাজার ৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী।


কমিশন সূত্রে খবর, পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনা কেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।