কলকাতা: পাঁচ সাংসদকে রাজ্য ভোটের লড়াইয়ে নামিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কোনও লাভ হল না গেরুয়া শিবিরের। তিন সাংসদকে বিধানসভা লড়াইয়ে হারের মুখ দেখতে হল। হারলেন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও স্বপন দাশগুপ্ত। জিতলেন শুধু নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার।
মাত্র দুই বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিধানসভার লড়াইয়ে হারতে হল লকেট-বাবুলদের।
এবারের বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক ছিল পাঁচ সাংসদের নাম। জয়ী সাংসদদের টিকিট দিয়ে আসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি দলের ছায়া মন্ত্রিসভার একটা রূপরেখা তুলে ধরাও এর উদ্দেশ্য ছিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত।
এবার বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে কলকাতার টালিগঞ্জে তৃণমূলের হেভিওয়েট অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। প্রচারে ঝড়ও তুলেছিলেন বাবুল। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা গেল বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ।
বিজেপির আর এক হেভিওয়েট প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম মহিলা মুখ লকেটকে চুঁচুড়া থেকে প্রার্থী করে বিজেপি।কিন্তু, তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হলেন তিনিও।
দলের দুই হেভিওয়েটের হারে কার্যত হতাশার সুর বিজেপি নেতৃত্বের গলায়। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, বাবুল-লকেটদের পিছিয়ে পড়াটা আশ্চর্যের।
এবার তারকেশ্বর থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হন স্বপন দাশগুপ্ত। তার আগে রাজ্যসভা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। হারতে হল তাঁকেও।
কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককেও ভোটের লড়াইয়ে নামিয়েছিল বিজেপি। কোচবিহারের দিনহাটায় মাত্র ৫৭ ভোটে জিতে কোনওক্রমে মুখরক্ষা করতে পেরেছেন তিনি।
রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও শান্তিপুর থেকে জিতে দলের মুখ রক্ষা করেছেন।পাঁচ সাংসদকে এভাবে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে নামানোর কৌশল কার্যত ব্যর্থ হল বিজেপির।
একইসঙ্গে তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামীদের মতো হাতে গোনা কয়েকজনই জিতেছেন।