কোচবিহার: শেষ দফার ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শাসকের চোখরাঙানি!উত্তরবঙ্গে জওয়ানদের শাসালেন নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ হুমকি দিলেন পুলিশকে। তাঁর বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোটের তদারকিরও অভিযোগ উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশে এফআইআর দায়ের।

তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগে ঘিরে সকাল থেকেই কোচবিহারের নাটাবাড়িতে উত্তেজনা তৈরি হয়। লাঠি উঁচিয়ে ৭৯ ও ৮১ নম্বর বুথের সামনে থেকে জমায়েত হঠিয়ে দেন জওয়ানরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছন নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আঙুল উঁচিয়ে তিনি হুমকি দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে! শুধু কি তাই! নির্বাচনী বিধি-নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দলীয় পোস্টার লাগানো গাড়িতে চড়েই তিনি সটান চলে গেলেন ভোটকেন্দ্রের কাছে!

কখনও আবার বুথে ঢুকে, সোজা চলে গেলেন ইভিএমের সামনে! কখনও সেক্টর ও পোলিং অফিসারকে হুমকিও দিলেন তিনি।

দলনেত্রীর সুরেই বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি।

এ দিন তৃণমূল প্রার্থীর নিশানায় পড়ে পুলিশও। দিনহাটার দুটি বুথের বাইরে তৃণমূলের জমায়েত সরাতে গেলে, পুলিশকে হুমকি দেন দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ।

 

কোচবিহারের পাথরসন রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের ১২৩-এ বুথে ছাপ্পা ভোটে তদারকি করতে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন উদয়ন গুহ।

 

এ সবের জেরে, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে এফআইআর জারির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

 

এর আগে, সাতগাছিয়ার তৃণমূল প্রার্থী সোনালি গুহের বিরুদ্ধেও এফআইআর করে কমিশন। এই সোনালি গুহও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে শাসিয়েছিলেন।

 

পঞ্চম দফায় আবার বুথের মধ্যে পূর্ণেন্দু বসুর চক্ষুশূল হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

 

বিরোধীদের অভিযোগ, যে দিন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হয়েছে, বহিরাগতদের হঠিয়ে ভোটারদের বুথমুখো করেছে, সেদিন থেকেই তারা শাসকের নিশানায়।