নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ভোটের মুখে আরও অস্বস্তিতে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের শোকজের যে জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব, তা গ্রহণ করছে না কমিশন।
সূত্রের খবর, কমিশন মনে করছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই শোকজের জবাব মুখ্যসচিবের দেওয়ার কথা নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখনও তাঁর হয়ে মুখ্যসচিবের জবাব দেওয়ার মধ্যে কোনও ভুল দেখছেন না। মেমারির সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, আমি দিলাম কি মুখ্যসচিব উত্তর দিল, সেটা হার্ডলি ম্যাটার। পার্টিকে লিখলে পার্টির প্যাডে উত্তর দিতাম। গভর্নমেন্টকে লিখলে গভর্নমেন্টের প্যাডে উত্তর দিই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যুক্তি অবশ্য কমিশন মানতে রাজি নয়। উপনির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা বলেছেন, আমরা ব্যক্তি মমতাকে নোটিস পাঠিয়েছিলাম। একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছিলাম। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সম্বোধন করা এটা প্রচলিত রীতি।
নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব চিঠিতে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই শোকজের জবাব দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, মমতার হয়ে মুখ্যসচিবের জবাব কমিশন গ্রহণ করবে না, এই সিদ্ধান্ত জানতেই আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মমতার হয়ে মুখ্যসচিবের জবাব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক পদক্ষেপই করেছে কমিশন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মুখ্যসচিবের জবাব দেওয়া নিয়ে রবিবারই কৃষ্ণনগরের সভা থেকে সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেছিলেন, আইনকে সম্মান করা উচিত। সরকারের অপব্যবহার হওয়া উচিত নয়। মমতা অথবা তৃণমূলের জবাব দেওয়া উচিত ছিল...মুখ্যসচিব জবাব দিয়ে থাকলে বিধি ভঙ্গ হয়েছে। ইন্দিরা গাঁধীও সাংসদপদ খুইয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে, শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিইও দফতরে গিয়ে মুখ্যসচিবকে শোকজেরও দাবি জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।