কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও, রাজ্যের একাধিক জেলায় ভোট-সন্ত্রাস!
হুগলির তারকেশ্বরে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হল সিপিএম কর্মীর। হামলার পর তাঁর বাইক ভাঙচুর করে, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় ২ সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত। পুরোপুরি গ্রাম্য বিবাদ, ঘটনায় দলের কোন যোগ নেই, দাবি তৃণমূল ব্লক সভাপতির।
উত্তর ২৪ পরগনার বারুইপুরের বেতবেড়িয়ায় আক্রান্ত ২ সিপিএম কর্মী। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল একজনের। অভিযুক্ত শাসক দল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, দলীয় কর্মীদের ওপরই হামলা হয়, প্রতিরোধ করে স্থানীয়রা। ঘটনায় গ্রেফতার এক তৃণমূলকর্মী। কমিশনের চাপেই এই গ্রেফতারি, সাফাই তৃণমূল নেতৃত্বের।
হুগলির কোন্নগর মাস্টারপাড়ায় সিপিএম কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর। পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মানতে নারাজ শাসক দল।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। জখম কংগ্রেস কর্মীর মেয়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল। গ্রেফতার এক। কংগ্রেস-সিপিএম কোন্দলের জের, অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি তৃণমূলের।
নদিয়ায় কল্যাণীর গয়েশপুরে সিপিএম সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি-বোমাবাজি। গুরুতর জখম সিপিএম সমর্থককে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাদের দিকে আঙুল উঠলেও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এই পরিস্থিতিতে পঞ্চম দফার ভোটের আগে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে, একযোগে সরব কংগ্রেস ও সিপিএম। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, হুমকি, ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। সন্ত্রাসের রাজনীতির কাছে মাথানত করব না। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা
আর পি এন সিংহ বলেন, বাংলাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। আক্রান্ত হচ্ছে বাম-কংগ্রেস। ভোটারদেরও ভয় দেখাচ্ছে।
যদিও যাবতীয় অশান্তির দায় বিরোধীদের ঘাড়েই ঠেলেছে শাসক দল। চতুর্থ দফার ভোটে প্রাণহানি হয়েছে। খুনের ঘটনা ঘটেছে ভোটের পরও। বাকি তিন দফার ভোট নির্বিঘ্ন হবে তো? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।