বিধাননগর: নিরাপত্তার বজ্র-আঁটুনির মধ্যেই ফস্কাগেরো! প্রতিবাদ করায় দমদমে আক্রান্ত হলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। অস্বীকার শাসক দলের।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কড়া অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অশান্তি রুখতে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাড়ায় পাড়ায় চলছে রুটমার্চ। কিন্তু, এতকিছু পরেও কোনও কিছুই যে বদলায়নি, তা এই ছবি থেকেই স্পষ্ট।
দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে, এক নিরীহ যুবক, যাঁর রাজনীতির সঙ্গে কোন যোগ নেই, তাঁর কপালেই জুটল মার। তাও আবার ভোটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। দোষ বলতে, বাহুবলীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ করেছিলেন প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামের ওই ব্যাঙ্ক কর্মী। তাই অরাজনৈতিক হয়েও রাজনীতির মাসুল গুণতে হল তাঁকে।
দমদমের বাম প্রার্থী পলাশ দাসের সমর্থনে পাড়ায় হোর্ডিং লাগাচ্ছিলেন সিপিএম নেতা পরিমল সাহা। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন ওই সিপিএম নেতাকে। প্রতিবাদ করেছিলেন প্রসেনজিৎ। সেটাই ছিল তাঁর দোষ। তারপর কিল-চড়-ঘুষি, বাদ যায়নি কিছুই। চোখে লাগে গুরুতর আঘাত।
ঘটনায় নির্বাচন কমিশন ও দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। দমদমের বাম প্রার্থী পলাশ দাসের অভিযোগ, ভোটে সন্ত্রাস চালাতে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। যথারীতি সব অভিযোগ অস্বীকার করে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর পালের দাবি, তাঁদের লোককেই মেরেছে সিপিএম।
চতুর্থ দফার ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের শাসানি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ায়, মেরে দুটো হাতই ভেঙে দেওয়া হয় নদিয়ার কল্যাণীর ভোটার এক পলিটেকনিক শিক্ষককে। তারপরও ভাঙা দু’হাত নিয়েই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন ওই শিক্ষক।