পুরভোটে এই সল্টলেকই চরম ভোট-সন্ত্রাসের সাক্ষী হয়েছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়তি সতর্ক নির্বাচন কমিশন। ররিবার সকাল থেকেই সল্টলেকে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি ও মোটরবাইক থামিয়ে চলছে তল্লাশি। মাইকের মাধ্যমে করে বহিরাগতদের সল্টলেক ছাড়া নির্দেশ দিতেও দেখা গেল পুলিশকে।
কৈখালি সহ ভিআইপি রোড লাগোয়া এলাকাতেও ধরা পড়ল একই ছবি। বিধাননগর পুলিশের পাশাপাশি, নাকা পয়েন্টে তল্লাশি করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও।
বহিরাগতরা যাতে আগে থেকে এসে ডেরা বাধতে না পারে তার জন্য ভিআইপি রোড লাগোয়া গেস্ট হাউসগুলিতেও চলছে তল্লাশি।
বিধাননগরে গত পুরভোটেও বহিরাগতরা তাণ্ডব চালিয়েছিল। তাই এবার এই বহিরাগতদের রোখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। ভোট-সন্ত্রাসের এই লাইফলাইনই কেটে দিতে চাইছে তারা।
কিন্তু, বড় রাস্তাগুলিতে জোর তল্লাশি চললেও, খাল পাড় পেড়িয়ে যে অলিগলি হয়ে দুষ্কৃতীদের ভোটের সময় সল্টলেকে ঢোকার রেওয়াজ আছে, সেগুলিতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে তো? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সল্টলেকের বাসিন্দাদের মনে। পুলিশের প্রাথমিক উদ্যোগে তাঁরা খুশি, এখন অপেক্ষা ভোটের দিন কী হয়!
সল্টলেকে নিরাপত্তা আটোসাঁটো হলেও, গঙ্গার ওপাড়ে হাওড়ার ছবিটা কিন্তু এরকম নয়।
হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে শহরে ঢোকার মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের তল্লাশি চলছে ঠিকই, হাওঢ়ার অন্য জায়গা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
সোমবার, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট ৬৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে,
সল্টলেকে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৫১০০ জন জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের ২২ হাজার কর্মী। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৩ হাজার ৭০০ জওয়ান এবং ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার বাকি এলাকায় ২৫৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৮ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে।
হাওড়া শহরে ৭ হাজার ৫০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৩ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে। গ্রামীণ হাওড়ায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৫ হাজার ২০০জন জওয়ান এবং ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ।
সকাল ৭ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।