তুহিন অধিকারী, বিষ্ণুপুর : ভোট প্রচারে বেরিয়ে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা। সাইকেল চালিয়ে মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের রাস্তায় ভোট প্রচারে সৌমিত্র খাঁ। ব্যাটারি-চালিত সাইকেল নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, পরিবেশ দূষণ যাতে কম হয় সেই লক্ষ্যে সমাজকে বার্তা দেওয়ার জন্যই তিনি ব্যাটারি-চালিত সাইকেল নিয়ে ভোট ভিক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন। এমনকী এ দিনের প্রচারে দেখা যায় বিষ্ণুপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুনীল দাসকে প্রণাম করতে। যদিও তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎকার শুধুমাত্র সৌজন্যের বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র খাঁ।


দিনকয়েক আগে তাঁকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী। সাংসদ তহবিল থেকে সৌমিত্র (Soumitra Khan) বিষ্ণুপুরে কাজ করেছেন প্রমাণ হলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুজাতা মণ্ডল (Sujata Mondal)। পাল্টা কটাক্ষ করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ।


কী দাবি বিষ্ণপুরের তৃণমূল প্রার্থীর?


সাংবাদিক বৈঠকে সুজাতা দাবি করেন, বিষ্ণুপুর লোকসভার যিনি বিজেপি প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভার জন্য কোনও উন্নয়ন করেননি। তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, “আমি কথা দিচ্ছি বিষ্ণুপুর পোড়ামাটির হাটে বসে একদিন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাক ডিবেট হয়ে যাক তিনি কী উন্নয়ন করেছেন সাংসদ হয়ে। আমাদের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ থেকে আমরা কী উন্নয়ন করেছি। যদি এটা প্রমাণ হয়ে যায় উনি ওঁর সাংসদ তহবিল থেকে বিষ্ণুপুর লোকসভার জন্য কাজ করেছেন তাহলে আমি কথা দিচ্ছি আমি নমিনেশন প্রত্যাহার করব। শুধু বিলাসিতা, ফুর্তি ছাড়া উনি কোনো কাজ করেননি। কোন উন্নয়নটা করেছেন জবাব দিন। তারপর বাকি লড়াইটা দেখা যাবে।''


কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি প্রার্থীর?


পাল্টা আক্রমণ শানান বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, “প্রথমে উত্তর দিন পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন কেন করতে দেননি বিরোধীদের। আর আপনার যে ভোট হয়েছিল এই ছাপ্পাটাকে মারছিল। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজ করিয়েছেন। মাথার যাঁদের ঠিক নেই তাঁদের উত্তর দেওয়া ঠিক নয়। প্রত্যেক জায়গায় সোলার লাইট। আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য করছেন তার পাশের সোলার লাইটটা সৌমিত্র খাঁয়ের সাংসদ তহবিল থেকে। ষাঁড়েশ্বর বাবার মন্দিরটাও কী দেখতে পাচ্ছেন না! শালি নদীতে রেলের ওভারব্রিজ হচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন না! এর বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। নমিনেশন ফাইল এখনও করলেন না তো উইথড্র করবেন কী করে। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষকে যে ভোট হতে দেননি সেটা মানুষ জবাব দেবে। বেশি কিছু আর বলে লাভ নেই। তবে একটাই কথা যার বুদ্ধিভ্রম হয়, যে সমাজের কোন মানুষের উপকার করে না, তাঁদের জবাব দেওয়াটা ঠিক না। আগে নমিনেশন ফাইল করুন, লড়াই করুন, জেলা পরিষদে যেভাবে ভোট চুরি করে জিতেছেন সেটা আগে জয়পুরের মানুষকে জবাব দিন।