নয়াদিল্লি: নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই মহাসমারোহে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু ভোটবাক্সে বিজেপি-কে কোনও ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি রামমন্দির। ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্র, অযোধ্যা যার অন্তর্ভুক্ত, সেখানে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। তবে রামমন্দির আবেগ অযোধ্য়ায় কাজে না এলেও, মথুরা খালিহাতে ফেরায়নি বিজেপি-কে, নির্বাচনের আগে যেখানে শাহি ইদগা মসজিদের এলাকার পূর্ণ দখল পাওয়ার দাবি সামনে রেখে সরব হয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। (Mathura Loksabha Elections 2024 Result)


অযোধ্যা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ন'টির মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রেরই হেরে গিয়েছে বিজেপি। রামমন্দিরকে ঘিরে থাকা অযোধ্যাতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে তারা। কিন্তু আগ্রা, মথুরা, হাথরস এবং আলিগড় নিয়ে গঠিত কৃষ্ণ ব্রজভূমে বিজেপি-র মুখরক্ষা হয়েছে। মথুরায় ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন হেমামালিনী, যিনি বিজেকে কৃষ্ণ-অনুরাগিণী বলে উল্লেখ করেন। হেমার এই জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বিজেপি-র শরিক দল RLD-র। দলের নেতা জয়ন্ত চৌধরি জাঠদের মধ্যে হেমার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলেন। (Lok Sabha Elections 2024)


অযোধ্যায় রামন্দির নির্মাণের মধ্যে মথুরা নিয়েও প্রত্যাশা বাড়ছিল হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকদের মধ্যে। যে কারণে 'অযোধ্যা তো বস ঝাঁকি হ্য়ায়, কাশি অউর মথুরা অভি বাকি হ্যায়' ধ্বনি শোনা গিয়েছিল তাঁদের মুখে। মথুরার কৃষ্ণজন্মভূমি এবং কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ বিতর্ককে উস্কে দিতে কোনও কসুর করা হয়নি। মথুরার শাহি ইদগা মসজিদকে কৃষ্ণজন্মভূমি হিসেবে সামনে রেখে চলে প্রচার। তাই মথুরায় হেমা জয়ী হওয়ার পর, তাঁকে ঘিরেও প্রত্যাশা বাড়ছে মথুরার মানুষ জনের। কেন্দ্রে হেমাকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Election 2024:স্মৃতি, নিশীথ, সুভাষ-- পরাজিতের তালিকায় কোন কোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?


হাথরসে বিজেপির অনুপ প্রধান বাল্মীকি সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। আলিগড়ে সতীশকুমার গৌতম সমাজবাদী পার্টির ব্রিজেন্দ্র সিংহকে হারিয়েছেন। আগ্রার দু'টি লোকসভা কেন্দ্র, ফতেপুর সিক্রিতে বিজেপি-র রাজকুমার চাহার জয়ী হয়েছেন। আগ্রায় জয়ী হয়েছেন এসপি সিংহ বাঘেল। পাঁচ বারের লোকসভা সাংসদ, এক বারের রাজ্যসভা সাংসদ বাঘেল I.N.D.I.A জোটের প্রার্থীকে ২.৭১ লক্ষ ভোটে হারিয়েছেন। ব্রজভূমে গেরুয়া শিবিরের এই সাফল্যে তিনিও কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার আশা দেখছেন। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁরা জায়গা পান কি না, তা দেখার। কারণ ইতিমধ্যেই জোট সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক চেয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের কাছে দরবার শুরু করে দিয়েছেন নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডুর।