নয়া দিল্লি: ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে, চার রাজ্যেই বিজেপির জয়জয়কার। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্মশিবির। সেই আবহে বৃহস্পতিবার বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য জানান যে  'কংগ্রেসের পরে সবচেয়ে বড় হেরো' তৃণমূলই। অমিতের নিশানায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক। তিনি এও বলেন, তৃণমূলে অভিষেকের কৌশল খাটেনি তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এটি 'সম্ভবত সঠিক সময়'।                                                     


অমিত মালব্য ট্যুইটে লিখেছেন, "কংগ্রেসের পরে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় পরাজয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে জেলাগুলিতে তিনি প্রচার করেছিলেন সেখানে সেখানে যেমন গোয়ায় খারাপ প্রদর্শন এবং কাশীতে ব্যাপক হার হয়েছে তৃণমূলের। নন্দীগ্রামে তার পরাজয়ের পর এটি সম্ভবত ভাইপোকে সরিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত সময়।" 


গোয়া বিধানসভা ভোটে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। একটিও আসনে জিততে পারলেন না তৃণমূলের প্রার্থীরা। বরং গোয়ায় তৃণমূলের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি, ফল ঘোষণার পরই, বিজেপিকে সরকার গড়তে সমর্থন করল। এরাজ্যে একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই গোয়ায় তৎপরতা বাড়িয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল কংগ্রেস ছেড়ে আসা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরোকে। একাধিকবার গোয়ায় নির্বাচনী প্রচারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।                                                      




প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাও গোয়ায় ঘাঁটি গেড়ে ছিল সেখানে। গোয়ায় ভাল ফলের বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু, একটি আসনেও জয়ী হতে পারল না তৃণমূল। গতবার গোয়ায় কংগ্রেস বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলেও, সরকার তৈরি করেছিল বিজেপি। এবার বিজেপিই ফার্স্ট বয়। সরকারও ফের তারাই গড়ছে। 


উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্মশিবির। বড় চমক দিয়ে, কংগ্রেসের থেকে পাঞ্জাব ছিনিয়ে নিল আম আদমি পার্টি। পাঁচ রাজ্যেই ধরাশায়ী হল রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কংগ্রেস।