কলকাতা: প্রথমে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তিলজলা, তারপর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আলিপুর রোড। ভোটের আগের মুহূর্তে বিভিন্ন ক্লাব থেকে উদ্ধার বোমা! বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন কমিশন কেন বিভিন্ন ক্লাবের উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে, তা এই দক্ষিণ কলকাতার দুই ক্লাব থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনা থেকেই পরিষ্কার।


এবারের বিধানসভা ভোটে সবার নজর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে। আক্ষরিক অর্থেই হেভিওয়েট কেন্দ্র।খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করছেন এই কেন্দ্র থেকে। আর এখানকার আলিপুর রোডে একটি ক্লাবের ছাদ থেকেই শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার হয় ১৪টি তাজা বোমা!

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। শুধু ভবানীপুরই নয়! বোমা মিলেছে রাজ্যের আরেক হেভিওয়েট কেন্দ্র বালিগঞ্জ বিধানসভার একটি ক্লাব থেকেও!

শুক্রবার সকালে লালবাজারে খবর পৌঁছয়, ৫২ নম্বর তিলজলা রোডের একটি ক্লাবে বোমা মজুত রাখা হয়েছে। সেইমতো ক্লাবে হানা দিয়ে, সিড়ির নীচ থেকে বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ভোটের আগের মুহূর্তে ক্লাবের ভিতর থেকে তাজা বোমা মেলায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও, কে বা কারা এই বোমা রেখেছে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কেউ ক্লাবে না থাকায়, তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

ষষ্ঠ দফার ভোটে বহিরাগতদের উত্‍পাত রুখতে, বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন নির্দেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন বলে, বহিরাগতদের জমায়েতের সম্ভাবনা রয়েছে, এমন ক্লাবগুলির ওপর দিনরাত নজরদারি চালাতে হবে। ভোট করাতে পথে নামতে পারে এমন দুষ্কৃতীদের উপর কড়া নজর রাখতে হবে।

শুধু ক্লাব নয়, কমিশনের নজরে রয়েছে জেলবন্দি দুষ্কৃতীরাও।

কমিশনের নির্দেশ, জেলবন্দি দুষ্কৃতীদেরও নজরে রাখতে হবে। যাতে তারা কোনওভাবেই জেলের বাইরে থাকা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে।

কমিশনের একগুচ্ছ নির্দেশ সত্বেও, ষষ্ঠ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ হয় কিনা, তা তো জানা যাবে শনিবারই।