উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই এসেছিল বাধা।  তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।   রাজ্যপালকে দেখামাত্রই দেখানো হয় কালো পতাকা, শুরু হয়ে যায় গো ব্যাক স্লোগান।  বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যপালের গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়িতে উঠে বৈঠকে যোগ দিতে চলে যান রাজ্যপাল। গত সোমবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন উত্তরবঙ্গ সফরে আসা রাজ্যপাল।

সেই বৈঠক শেষ করে রাজ্যপাল জানান, 'উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে যা করা প্রয়োজন, করবেন' । সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'গ্রাউন্ড জিরো-য় গিয়ে হিংসাদীর্ণ এলাকার পরিস্থিতি দেখেছি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি'। এর আগে সোমবারও তিনি বলেছিলেন , তাঁর কাছে ‘ফিল্টার’ হয়ে বিভিন্ন তথ্য পৌঁছয়। কাজেই সাধারণ মানুষের কী অভাব-অভিযোগ রয়েছে, তা যেন সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখা হয়।

আরও পড়ুন : 





এরই মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বড় ধাক্কা খায় রাজ্য । কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ১১ বিশ্ববিবিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ, অবিলম্বে ১০ উপাচার্যের বেতন চালু করতে হবে। নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই নিয়োগ হয়েছিল বলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তারপর নিযুক্ত ১০ উপাচার্যের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও বন্ধ করে দেয় রাজ্য। রাজ্যকে ধাক্কা দিয়ে আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে ১০ উপাচার্যের বেতন চালু করে দিতে হবে।         

 উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল তথা আচার্য কয়েকজন অস্থায়ী উপাচার্যকে বেছে নিয়ে ছিলেন। তাঁদেরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে বলা হয় রাজভবনের তরফে।  উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় বৈঠক। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়-সহ ১২টি  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১৩ জন উপাচার্যকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।                  


সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে রাজ্যপাল কোচবিহারে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। ভোট পূর্ববর্তী অশান্তির অভিযোগ লেগেই রয়েছে কোচবিহারে। ঘটেছে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর কোচবিহার যাচ্ছেন তিনি।