পশ্চিম মেদিনীপুর: বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলেছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি সি ভোটারের এক্সিট পোল (C VOTER-এর EXIT POLL) সমীক্ষা কী বলছে? কী হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের ফল?
পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট জেলা পরিষদ আসন ৬০টি। সেখানে সি ভোটারের এক্সিট পোল অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ৩১-৪১টি আসন। বিজেপির দখলে আসতে পারে ১৯-২৫টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে ০-৪ টি আসন।
গতবারের পঞ্চায়েত ভোটে অর্থাৎ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫১ টি জেলা পরিষদ আসন ছিল। সেই ভোটে সব আসন, অর্থাৎ ৫১টি আসনেই জিতেছিল তৃণমূল। এবার কিন্তু সেই একচেটিয়া ফল নাও হতে পারে। সি ভোটারের এক্সিট পোলে যা দেখা যাচ্ছে ভালই লড়াই হতে পারে এই জেলায়। তৃণমূলের আধিপত্যে ভাগ বসাতে পারে বিজেপি। সামান্য ভোট ফিরতে পারে বাম -কংগ্রেসের ঝুলিতেও।
এর আগে ওপিনিয়ন পোলও করেছিল সি ভোটার। সেটাও দেখানো হয়েছিল এবিপি আনন্দে। সেখানে বলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৩২-৪২ আসন পেতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বিজেপি ১৮-২৪ আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট ০-৪ আসন পেতে পারে।
জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক
প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।