পূর্ব মেদিনীপুর: ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে এক দফায়- হয়ে গেল পঞ্চায়েত ভোট। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলেছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি সি ভোটারের এক্সিট পোল (C VOTER-এর EXIT POLL) সমীক্ষা কী বলছে? কী হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের ফল?|


পূর্ব মেদিনীপুরে মোট জেলা পরিষদ আসন ৭০টি। সেখানে সি ভোটারের এক্সিট পোল অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ৩৫-৪৫টি আসন। বিজেপির দখলে আসতে পারে ২৬-৩২টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে ০-২টি আসন।


এর আগে ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে ৬০টি জেলা পরিষদ আসন ছিল। সেখানে ৬০টিই পেয়েছিল তৃণমূল।


বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১১ সালের রাজ্য সরকারে পালাবদলের আগের পঞ্চায়েত ভোট অর্থাৎ ২০০৮ সালের ভোটে রাজ্যের ২টি জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। তার মধ্যে একটি ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জমিও এখানে। এই জেলাতেই তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর সময় বয়েছে, তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়ে এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর জেলাতেও তুমুল লড়াই চলেছে এই পঞ্চায়েত ভোটে। এক্সিট পোলের ফলাফল অনুযায়ী এই জেলায় তৃণমূল ও বিজেপির তুমুল লড়াই হতে পারে। শেষ হাসি কে হাসবেন? জানা যাবে ১১ জুলাই।


জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক 
প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।