C-voter Opinion Poll Live: তৃণমূলের ভাবমূর্তি কি ক্ষতিগ্রস্ত ? পঞ্চায়েতে লাভ হবে বিজেপির ? জিততে পারবে বাম-কংগ্রেস?
C-Voter Opinion Poll 2023 Latest Updates: রাজ্য় জুড়ে সমীক্ষা চালায় আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter. কী বলছে আগাম সমীক্ষা, দেখে নিন।
হুগলি জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৫৩। তৃণমূল পেতে পারে ৩৭ থেকে ৪৭ আসন। বিজেপি ৬ থেকে ১২টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ৩টি আসন।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ২৪। তৃণমূল পেতে পারে ১০ থেকে ১৪ আসন। বিজেপি ৯ থেকে ১৩টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন।
বীরভূম জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৫২। তৃণমূল পেতে পারে ৩৩ থেকে ৪৩টি আসন। বিজেপি ৮ থেকে ১৪টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ৪টি আসন।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৭৮। তৃণমূল পেতে পারে ৩০ থেকে ৪০টি আসন। বিজেপি ২ থেকে ৬টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩৩ থেকে ৪৩টি আসন।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৪৫। তৃণমূল পেতে পারে ২৩ থেকে ৩৩টি আসন। বিজেপি ৫ থেকে ১১টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৫ থেকে ৯টি আসন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৬০। তৃণমূল পেতে পারে ৩২ থেকে ৪২টি আসন। বিজেপি ১৮ থেকে ২৪টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ৪টি আসন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ২১। তৃণমূল পেতে পারে ১১ থেকে ১৫টি আসন। বিজেপি ৫ থেকে ৯টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ১৮। তৃণমূল পেতে পারে ১১ থেকে ১৫টি আসন। বিজেপি ২ থেকে ৬টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন।
কোচবিহার জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৮৫। তৃণমূল পেতে পারে ৫৭ থেকে ৬৭টি আসন। বিজেপি ১৪ থেকে ২০টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩ থেকে ৭টি আসন।
কোচবিহার জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৪। বিজেপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৯টি আসন। তৃণমূল ১৩ থেকে ১৯টি আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে একটি আসন।
৫২ শতাংশ মানুষের মতে, এতে কোনও প্রভাব পড়বে না। ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন প্রভাপ পড়বে। ১২ শতাংশ মানুষ মতামত জানাননি।
৫২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, হ্যাঁ, সংখ্যালঘুরা মুখ ফেরাতে পারেন তৃণমূলের থেকে। তেমন সম্ভাবনা নেই বলে মত ৩৮ শতাংশ মানুষের। ১০ শতাংশ মানুষ মতামত জানাননি।
ভোটারদের ৫৯ শতাংশ মানুষ বলছেন হ্যা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোটারদের ২৮ শতাংশ মানুষের মতে, তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ভাবমূর্তি। ১৩ শতাংশ মানুষ কোনও মতামত দেননি।
জেলা পরিষদের কাজে ক্ষুব্ধ এবং পাল্টাতে চান বলে জানিয়েছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। ২৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা ক্ষুব্ধ কিন্তু পরিষদ পাল্টাতে চান না। ক্ষোভ নেই, বদলও চান না ১৬ শতাংশ মানুষ। বাকি ৭ শতাংশ মানুষ জবাব দিতে পারেননি।
৩৫ শতাংশ মানুষ বলছেন ৩৫ শতাংশ। খারাপ বলছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। ১৬ শতাংশ মানুষ বলছেন মাঝারি।
এবারের নির্বাচনে দুর্নীতির ভূমিকা বড় হয়ে উঠে আসছে, ২৫ শতাংশ। বেকারত্ব ২১ শতাংশ, সরকারি প্রকল্প এবং আইনশৃঙ্খলা ৯ শতাংশ।
যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: নির্ঘণ্ট প্রকাশ থেকে মনোনয়ন এবং স্ক্রুটিনি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দফায় দফায় অশান্তি হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। হুজ্জতি, মারামারি, ঝামেলা, বোমাবাজি, প্রাণহানি, কিছুই বাকি থাকেনি। নির্বিঘ্নে নির্বাচনের স্বপ্ন এবারও তাই অধরাই থেকে গিয়েছে (Panchayat Elections 2023)। বরং যত এগিয়ে আসছে ভোটগ্রহণে দিন, ততই বাড়ছে অভিযোগের বহর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও। দীর্ঘ গড়িমসির পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণের তৎপরতা দেখা দিলেও, ভোটগ্রহণের দিনও আশঙ্কার অবকাশ থেকে যাচ্ছে। তবে শাসক-বিরোধী প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও পক্ষই (Cvoter Opinion Poll Live)।
কিন্তু যাঁদের মতামত নিতে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যাঁদের উপর সবকিছু নির্ভর করছে, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? ভোটগ্রহণের আগে তা নিয়ে আঁচ পেতে রাজ্য় জুড়ে সমীক্ষা চালায় আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter. রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদের সব ক'টি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। শুধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভোটারদের ভাবনার আভাস পাওয়ার চেষ্টা।
কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় যে সমীকরণ চোখে পড়ছে, তাতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দল এগিয়ে রয়েছে দৌড়ে, কড়া টেক্কা দিতে পারে কোন দল, তা নিয়ে আগাম সমীক্ষা চালানো হয়। ABP C-Voter-এর সেই সমীক্ষা কী বলছে, চোখ রাখুন।
আগামী ৮ জুলাই, শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নির্বাচন। গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হবে ভোটগ্রহণ। এর আগে, ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল পাঁচ দফায়। কিন্তু, ২০১৮ সালে ভোট হয় এক দফায়। এবারও পঞ্চায়েত ভোট এক দিনেই ঘোষণা করে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে আগাগোড়া প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, সর্বদল বৈঠক না ডেকে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী শিবিরের কারও মতামত গ্রহণ না করে একতরফাভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও পৌঁছয়, যদিও তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি আদালত।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদ, ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট গণনা হবে ১১ জুলাই। ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছে অমিত শাহর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী, আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। কেন্দ্র কি সেই বাহিনী পাঠাবে? সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
যে কারণে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত, প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ একাধিক দাবিতে, ডেপুটেশন দিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাদের দাবি, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি বুথে মোতায়েন করতে হবে যথেষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -