কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ (Abhishek Banerjee)। ডিজিকে সিট গঠনের নির্দেশদিল কলকাতা হাইকোর্ট(calcutta High Court) আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) । তার ভিত্তিতেই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। FIR হিসেবে মামলা গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হল। গ্রেফতার করা হয়েছে যাঁদের, তাঁদের জামিন দেওয়ার নির্দেশও দিল হাইকোর্ট।


মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হল। মঙ্গলবার শুনানি চালকালীন আদালত নির্দেশ দেয়, শান্তনুর দায়ের করা মামলায় ডিজিকে সিট গঠন করতে হবে। এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করতে হবে মামলাকারীর অভিযোগ। এডিজি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে হবে। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, জামিনে ছেড়ে দিতে হবে তাঁদের। ওই দিন মন্দির এবং চাঁদপাড়া হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। তদন্ত কতদূর এগোল, ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।


আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: ‘কোথা থেকে বাহিনী এল, তাতে আপনাদের কী’, সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন


গত ১১ জুন জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল অভিষেকের। তার জন্য বেরিয়ে ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতেও যান তিনি। কিন্তিু তিনি পৌঁছনোর আগে অশান্তি মাথাচাড়া দেয় ঠাকুরনগরে। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। মূল মন্দিরে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূল মন্দিরে ঢুকতে না পেরে পাশের মন্দিরে যান। একজন সাংসদের আসাকে ঘিরে এত নিরাপত্তা কেন, সেই সময়ই প্রশ্ন তুলেছিলেন শান্তনু। 


ওই দিন অভিষেক পৌঁছনোর আগেই দফায় দফায় অশান্তি ছড়ায়। অভিষেকের মতুয়াবাড়িতে পুজো দিতে আসা নিয়েও আপত্তি তোলেন শান্তনু। আগে থেকে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন। রথযাত্রা প্রস্তুতিতে প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন। কিন্তু প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকালের দিকে ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে পুলিশকেও সরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল শান্তনুকে। তার পর দুই পক্ষের মধ্যে হাতহাতি শুরু হয়। অভিষেকের বিরুদ্ধে পড়ে পোস্টার, ওঠে স্লোগানও।


অভিষেকের সেই সফর ঘিরে সংবাদমাধ্যমেও মুখ খুলেছিলেন শান্তনু। অভিষেক এবং তাঁর সমর্থকরা ঢুকে পড়ায় মন্দির অপবিত্র হয়েছে বলে দাবি করেন। প্ররোচনা দিয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগও করেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মন্দিরের দখল নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। মন্দিরের ফটক বন্ধ করলে সংঘর্ষে অনেকে আহত হন বলে দাবি করা হয়। সেই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন শান্তনু। মঙ্গলবার তার শুনানিতেই সিট গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।